আবদুল মজিদ, চকরিয়া:
চকরিয়ায় ঈদুল আযহার কোরবানীর পশুরহাট জমে উঠছে। উপজেলার ছোট-বড় প্রায় ৩০টি মতো কোরবানীর পশুর হাট বসেছে। এই বারও সবচেয়ে বড় বাজার বসেছে ইলিশিয়া স্কুল মাঠে। এছাড়াও পৌরসভার বাসটার্মিনাল, ঘনশ্যামবাজার, সাহারবিল পরিষদ বাজার, বদরখালী, ডুলাহাজারা, খুটাখালী, হারবাং, লক্ষ্যারচর জিদ্দাবাজার, মানিকপুর, ফাসিয়াখালী ভেন্ডীবাজার, বরইতলী গরু বাজারসহ অন্তত ৩০টি মতো পশুরহাট বসেছে। এসব পশুর হাটের জাল টাকা সনাক্ত করণ মেশিন বসানো হয়েছে।
সোনালী ব্যাংক চকরিয়া শাখার ম্যানেজার বিকেনান্দ বিশ্বাস জানিয়েছেন, সোনালী ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে ইসলামী ব্যাংক চিরিংগা শাখাসহ সরকারী-বেসরকারী ১৮টি ব্যাংক কয়েকভাগে বিভক্ত হয়ে কোরবানীর পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণ মিশিং বসানো হয়েছে। গতকাল ২৭ আগষ্ট বিকেলে পৌর বাসটার্মিনালে জাল টাকা শনাক্ত করণ মিশিংয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার নেপাল বাবু, জুনিয়র অফিসার আবদুল খালেকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন। সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার বিকেনান্দ বিশ^াস আরো জানান, আগামী শুক্রবার পর্যন্ত কোরবানীর পশুর হাটে জাল নোট শনাক্ত করণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
অপরদিকে বিভিন্ন পশুর হাট পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, এ বছর বড় গরুর চেয়ে মাঝারী ও ছোট গরুর ক্রয় বেশি হচ্ছে। বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে গরু, মহিষ, ছাগল,ভেড়া উঠেছে। বিশেষ করে ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কোরবানীর গরু ক্রয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতা সমাগম ঘটেছে। যার কারণে বিকাল অনুমানিক ৩ থেকে ৫টা পযর্ন্ত ছিল সড়কে দীর্ঘ যানজট। এদিন প্রচুর পরিমাণে কোরবানীর পশু বেচা-কেনা হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।