আরোজ ফারুক , ঢাকা থেকে :
শেষ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২ রান। ৬ মেরে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করলেন বাংলাদেশের উহুইলচেয়ার ক্রিকেটার রাজন। মালয়শিয়ার কিলাত ক্লাব গ্রাউন্ডে ১৯৯৭ আইসিসির ফাইনালের রুপকথা যেন আবার রচিত হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়ামে। হয়তো প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত সেই ম্যাচের জয়ের নায়ক সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলটের উপস্থিতি বাড়তি প্রেরণা যুগিয়েছিল বাংলাদেশের হুইলচেয়ার ক্রিকেটারদের।
সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ভারত উহুইলচেয়ার ক্রিকেট দল বাংলাদেশকে ২০ ওভারে ২২৪ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয়। আগের ম্যাচের হ্যাট্রিক করা বাংলাদেশের উজ্জ্বল এই ম্যাচেও হ্যাট্রিক সহ ৫ উইকেট লাভ করেন। জবাব দিতে নেমে ভারতের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং ফিল্ডিং এ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। টান টান উত্তেজনার ম্যাচে শেষ ওভারে ১৫ রান নিয়ে বাংলাদেশ ২-১ এ ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের উজ্জ্বল ম্যান অফ দা ফাইনাল এবং ম্যান অফ দা সিরিজ নির্বাচিত হন।
দেশে প্রথমবারের মত আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক সিরিজের ফাইনাল ম্যাচে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট, টুর্নামেন্টের স্পন্সর ওয়ালটনের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম, ওয়ালটনের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিল্টন আহমেদ, আয়োজক প্রতিষ্ঠান ইমেগো স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের কো-ফাউন্ডার তামজিদুল ইসলাম।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।