চকরিয়া অফিস:
চকরিয়ায় মামার বিরুদ্ধে আপন ভাগনির উপর্যপুরী দুইটি সংসার ভেঙ্গে দিয়ে কলাকৌশলে বিবাহ বিচ্ছেদের দেনমোহর বাবৎ ক্ষতিপূরণ দেওয়া ২লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে ভূক্তভোগী ভাগনি বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, লামা,বান্দরবানে প্রতারণাকারী মামার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় গতকাল ২৫ আগষ্ট বিকাল ৪টায় চকরিয়া প্রেস ক্লাবে অভিযোগ তুলেন ভূক্তভোগী।
মামলার আর্জি সূত্রে জানায়, লামা পার্বত্য উপজেলার ৩নং ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড গুলিস্তান বাজার গ্রামের মৃত মোবারক আলীর মেয়ে মোফাইদা বেগম এর সাথে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের জনৈক জকির আহমদের বিয়ে হয়। কিন্তু মোফাইদা বেগমের আপন মামা চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড পূর্বডুমখালী গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর পুত্র আরিফ উল্লাহ’র ইন্ধনে লোভের বশিভূত হয়ে আর্থিক ফায়দা লুটের আশায় ওই বিবাহ বিচ্ছেদ করে দেন এবং বিয়ের দেনমোহরের ক্ষতিপূরণ দেওয়া ১লাখ টাকা মামার হাতে রেখে দেন। পরবর্তীতে কুতুবদিয়া উপজেলার জনৈক সিরাজুল ইসলামের সাথে ২য় বিবাহ হয় মোফাইদার। একই কায়দায় মামা লোভের বশিভূত হয়ে ভাগনির ওই সংসারও ভাঙ্গেন। ওই বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষতিপূরণ বাবৎ আরো ১লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা রাখেন মামার হাতে। এরপর ভাগনির নিজ পছন্দে ৩য় বিয়ে হয় গুলিস্তান বাজার গ্রামের ছৈয়দুল হকের সাথে। বর্তমানে ওই সংসারে ৫সন্তান-সন্ততি রয়েছে। কিন্তু চলতি সনের ৫ জুলাই সকাল ১০টায় দুটি বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষতিপূরণ পাওয়া ২লাখ ৫০ হাজার টাকার জন্য মামা আরিফ উল্লাহ’র কাছে গেলে কিছের টাকা উল্লেখ করে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। ইতিপূর্বে ভূক্তভোগী মোফাইদা বাদী হয়ে চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের গ্রাম আদালতে মামলা নং ৪৮/১৬ দায়ের করেন। চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দুপক্ষের বক্তব্য ও স্বাক্ষী প্রমাণ নিয়ে বাদী পক্ষের ডিক্রি প্রদান করেন এবং ১৩ নভেম্বর’১৬ থেকে ৩০দিনের মধ্যে ২লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ দেন। ওই রায় অমান্য করে উল্টো বাদীকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ায় গত ১৩ জুলাই’১৭ইং লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সিআর মামলা নং ১২১/১৭ দায়ের করেন। বর্তমানে মোফাইদা বেগমের ভোগ দখলীয় বিভিন্ন জমি জমা জবর দখলে মেতে উঠেছে প্রতারক মামা আরিফ উল্লাহ। তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।