হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :

টেকনাফে প্রকাশ্যে গুলিবর্ষন ও সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এবং অবৈধ অস্ত্রধারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবীতে মিছিল সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে। ২৫ আগষ্ট জুমাবার বিকাল ২ঘটিকায় টেকনাফ সদরের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে মহেশখালিয়াপাড়া বড় মাদরাসা মাঠে প্রকাশ্যে গুলিবর্ষন ও সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এক বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্যানেল ডাঃ নুর মোহাম্মদ গণি, সাবেক মেম্বার নুরুল ইসলাম, সমাজ সেবক জহির উদ্দীন আহমদ, মাস্টার আবদুল মন্নান, মাষ্টার আবুল বশার, হাফেজ মমতাজ শাহীন, মোঃ ফেরদাউস, মোয়াজ্জেম হোসেন, মোঃ হারুন, শফিক, সিরাজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাষ্টার নুরুল ইসলাম, হাজী বাদশাহ মিয়া, আবদুল মুনাফ, শামসুল আলম। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন যারা দেশের আইন শৃংখলার অবনতি ঘটায় তারা দেশ ও জাতির শত্রু। ন্যায় বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের রুখে দাঁড়াতে এলাকাবাসীর সহযোগিতা ও কামনা করেন। এবং প্রকাশ্যে অস্ত্রের গুলিতে আহতদের সুস্থ কামনা করেন। শীঘ্রই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান। আগামীতে এলাকার যে কোন অন্যায় অবিচার রোধ করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।এছাড়া বক্তারা আরো বলেন ইয়াবা সহ সকল প্রকার মাদক মুক্ত করতে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান। সভাপতির বক্তব্যে আবদুল হামিদ মেম্বার বলেন আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তুু কিছু কুচক্রী মহল আমার ন্যায় বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সদা তৎপর রয়েছে। ্আমি আমার নির্বাচনী এলাকার স্বার্থে জীবন বিলিয়ে দিতে প্রস্থুত আছি। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করুন। এসময় সকলে হাত উচু করে শ্লোগান দিয়ে সমর্থন জানান।

উল্লেখ্য ২৩ আগষ্ট ছাগল চুরির সালিশকে কেন্দ্র করে ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুল হামিদের ওপর গুলিবর্ষণ ও হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এসময় মহিলাসহ ৮ গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছিল। মহেশখালীয়া পাড়ার মোজাহের আলমের ছেলে শামসুল আলমের একটি ছাগল চুরির ঘটনায় আব্দুল হামিদ মেম্বার ২২ আগষ্ট মঙ্গলবার রাতে বৈঠক বসেন। এতে ছাগল চুরির বিষয়ে রফিক ও এবং আবুল বশরের ছেলে মিজান, তার সহযোগি জসিম, সাইফুল চুরির কথা স্বীকার করে। অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তীতে বিচার বসার সিদ্ধান্ত হয়। হঠাৎ সুর পাল্টিয়ে আবুল বশরের লোকজন প্রতিপক্ষের লোকজনের উপর চড়াও হয়। খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার এসআই মনজুর আলমসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। কিন্তু পরের দিন ২৩ আগষ্ট বুধবার সকালে আবুল বশরের লোকজন হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতারীভাবে গুলি করে এবং আব্দুল হামিদ মেম্বারের কাজের ছেলে আবদুস সালামকে মারধর করে। এক পর্যায়ে মহেশখালিয়াপাড়া গ্রামে ডুকে আব্দুল হামিদ মেম্বারের বাড়ীর দিকে এগিয়ে গেলে মেম্বারের বেশ যুবক তাদেরকে ঘটনা না করে মিমাংশা করার জন্য এগিয়ে আসে। কিন্তু সবকিছু বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবুল বশরের নিকট আত্বীয় পাশ্ববর্তী গোদার বিল গ্রামের পুতু মিয়া ছেলে দিল মোহাম¥দ দিলুর নেতৃত্বে ২০/৩০ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী স্বশস্ত্র অবস্থায় গুলি বর্ষণ করতে করতে হামিদ মেম্বারের এলাকায় গিয়ে লোকজনকে প্রকাশ্ব্য ধাওয়া করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় নুর হোসেন ও তার পিতা দলিল আহমদ। পরে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ হাসপাতালে ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে আহতের ভাই নবী হোসেন বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় দিল মোহাম্মদ দিলুকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত ৪/৫ জনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের সদস্য আব্দুল হামিদ বলেন, দিলুর নেতৃত্বে প্রকাশ্যে গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। শত শত লোকের সামনে দিনের বেলায় ৮ থেকে ১০ রাউন্ড অবৈধ পিস্তলের গুলি ছোঁড়া হয়েছে।