নিজস্ব প্রতিবেদক, কুতুবদিয়া :
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপকূলের ত্রাস দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ইয়াবা ডন খ্যাত লেমশীখালীর ইসহাক মেম্বারকে অস্ত্রসহ আটক করেছে কুতুবদিয়া থানা পুলিশ। সে উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নের উত্তর করলা পাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তাকে ২৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) রাতে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদৌস, এস.আই জয়নাল, আকতার, ও এ.এস.আই আবুল কাশেম, জাহেদ, সজল,ওয়াদুদ, নুরুল আলমসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে ধুরুং বাজার এলাকা থেকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে নিজ বাড়ি থেকে দুটি অগ্নেয়াস্ত্র ও ২টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে কুতুবদিয়া থানায় ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদৌস। আটককৃত মেম্বার ইসহাক লেমশীখালী ইউপির সদস্য।
কুতুবদিয়া থানা পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে ইসহাক মেম্বারকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ আলমগীর কবিরের আদালতে হাজির করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
এদিকে ইসহাক মেম্বার আটকের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে সচেতন মহল দাবী করেন। দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ইসহাক আটকের খবর পেয়ে তার হাতে নির্যাতিত মানুষ শুক্রবার জুমার নামাজের পর মসজিদে মসজিদে মিষ্টি বিতরন করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক করলাপাড়ার এক মহিলা জানায়, ইসহাক বিগত ৫/৬ বছর ধরে করলাপাড়া, পেয়ারাকাটা গ্রামের মিরাখালী সড়কে ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিল। স্থানীয় মুছা কোম্পানীকে অপহরণ পূর্বক ১০ লাখ টাকা আদায়, ডাকাতির লুটকৃত মালামাল ভাগভাটোরায় গুলাগুলিতে তার দুই ভাই গুলিবিদ্ধ, বাশঁখালীর এক ফিশিং ট্রলার ডাকাতি করে পুড়িয়ে দিয়ে রামরাজত্ব কায়েম করে, টেকনাফে ইয়াবা চালান আনতে গিয়ে আটক হওয়াসহ বহু ঘটনার নায়ক। এলাকায় সন্ত্রাসী ইসহাক শতাধিক সন্ত্রাসী ও জলদস্যু নিয়ে একটি কাহিনী গঠন করে এলাকায় এবং সাগরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়। এ বাহিনীর সদস্যদের আটকের জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
একই দিনে পুলিশের পৃথক অভিযানে বড়ঘোপ ইউনিয়নের দক্ষিণ অমজাখালী গ্রামের মৃত হাজি সোলাইমানের ছেলে আবুল কালাম (৬০)কে আটক করে। সে কুতুবদিয়া থানার র্দীঘদিনের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। আদালত তাকে বিগত তিন বছর পূর্বে একটি মামলায় দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছিল। সে সময় থেকে আবুল কালাম পলাতক ছিল।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।