আব্দুল আলীম নোবেল :
কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী হালিমা পাড়া পুকুর থেকে শক্তিশালী একটি তাজা গ্রেনেড আকৃতির বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৫ আগস্ট দুপুর ১২ টায় স্থানীয় ছেলেরা পুকুরে গোসল করতে গেলে পানিতে ওই বোমাটি পায়।
পুলিশ খরব পেয়ে ওখানে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়। পরে পুলিশ সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় রামু সেনা বাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার-৪ কোরের মেজর সাইফুর জামানের নেতৃত্বে গ্রেনেড আকৃতির বোমাটি বিস্ফোরণ ঘটায় । তবে গ্রেনেডটি সেখানে কিভাবে কারা কেন রেখেছিল, তা জানা যায়নি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ(ওসি) জানান, হলিমার পাড়া এলাকার বাসিন্দা ছৈয়দ আলম প্রকাশ নাপাইংগার পুকুরে স্থানীয় শিশু সালমানও শামিম নামে দুই ছেলে দুপুরে পুকুরে গোসল করতে নামলে গ্রেনেড আকৃতির বোমাটি দেখতে পায়।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার ও জায়গাটি ঘিরে রেখে লোকজনকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে সেনা বাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল এসে সন্ধ্যার দিকে নিরাপদ উপায়ে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়। উপস্থিত সংশ্লিষ্ট বোম ডিসপোজাল ইউনিটের কর্মকর্তার মারফত জানা যায়, গ্রেনেডটি ছিল তাজা ও একাধিকবার বিস্ফোরণের ক্ষমতাযুক্ত। অনেক ধ্বংসাত্মক ক্ষমতাসম্পন্ন গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত হলে বড় ধরনের ক্ষতি হতো। এটি ছিল গ্রেনেড আকৃতির বোম। আরো তথ্যের জন্য গ্রেনেডটির আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। কক্সবাজারে ফায়ার সার্ভিসের দলও উপস্থিত ছিল।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।