খালেদ হোসেন টাপু,রামু :
কক্সবাজারের রামু উপজেলার পশ্চিম চাকমারকুল এলাকায় বাঁকখালী ভাঙ্গণ ঠেকাতে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ৪ হাজার বালির বস্তা বসানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার পশ্চিম চাকমারকুল জামে মসজিদের কবরস্থান ও বসতভিটা রক্ষার্থে স্থানীয় এলাকাবাসী এসব বালির বস্তা বসিয়েছে। কর্তৃপক্ষের ওপর ভরসা হারিয়ে এলাকার মানুষ এবার নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধানের আশায় এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
স্থানীয়রা জানান, রামু পশ্চিম চাকমারকুল এলাকায় ৪০০ ফুট পর্যন্ত তীর এলাকা বাঁকখালী নদীর গর্ভে তলিয়ে গিয়ে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে পশ্চিম চাকমারকুল জামে মসজিদ ও কবরস্থান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক, শতাধিক বাড়ি ও প্রচুর কৃষি জমি। সম্প্রতি কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভাঙন এলাকা পরিমাপ করে নিয়ে গেলেও এপর্যন্ত ভাঙন রোধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
এদিকে রামু পশ্চিম চাকমারকুলের বাসিন্দা সমাজ সেবক জালাল আহমদ ও ইউপি সদস্য সৈয়দ নুর জানান, কয়েক বছর ধরে একের পর এক ভাঙনে সিসি ব্লক তলিয়ে গিয়ে ৪০০ ফুট পর্যন্ত তীর এলাকা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। গত কিছুদিন আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করে পরিমাপ করে নিলেও এখনো পর্যন্ত তাদের কোন খবর নেই। আসন্ন বর্ষার আগে ভাঙন ঠেকানোর জন্য কোন ব্যবস্থা না নিলে মহাসড়কসহ পশ্চিম চাকমারকুল বৃহত্তর এলাকা বাঁকখালী নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। তাই ভাঙন ঠেকাতে স্বেচ্ছাশ্রমে বর্তমানে ৪ হাজার এবং ১ মাস আগেও ৬ হাজার বালির বস্তা দেওয়া হয়েছে ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।