মো. নুরুল করিম আরমান, লামা:
বান্দরবানের লামা পৌর বিএনপি’র একাংশ ও উপজেলা যুবদল কর্তৃক আয়োজিত আজ বৃহস্পতিবারের সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। একই সময়ে প্রেসক্লাব চত্বরে কর্মী সমাবেশের আয়োজন করলে উভয় পক্ষের মধ্যে দাংগা-হাংগামা ও সংঘর্ষের আশংকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নিবার্হী অফিসার খিনওয়ান নু এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
সূত্র জানায়, পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে লামা প্রেসক্লাব সংলগ্ন পৌর বিএনপি কার্যালয়ে জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সদস্য অর্ন্তভূক্তি ও নেতা-কর্মীদের সাথে মত বিনিময় কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। একই সময়ে উপজেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ তাদের সাংগঠনিক কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রেসক্লাব চত্বর ব্যবহারের জন্য প্রশাসনের নিকট অনুমোতির আবেদন করেন। এ প্রেক্ষিতে অফিসার ইনচার্জ লামা থানা ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সমাবেশকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে দাংগা-হাংগামা ও সংঘর্ষের হতে পারে এমন আশংকায় দুই পক্ষকে সাংগঠনিক কার্যক্রম না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর মো. সাইফুদ্দিন জানান, প্রেসক্লাব গলিতে আমাদের পৌর বিএনপি’র কার্যালয়। আমাদের অফিসগৃহে জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সদস্য সংগ্রহ ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় কর্মসূচী ছিলো। এ কর্মসূচীকে বানচালের জন্যেই মিথ্যে সাংগঠনিক পরিচয় দিয়ে প্রশাসনের নিকট আবেদন করেছে তারা। অপরদিকে, লামা উপজেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ বলেন, প্রেসক্লাব চত্বরে আমাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মী সমাবেশ ছিলো। অপর পক্ষের কর্মসূচী বানচালের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, এই কর্মসূচী আমাদের পূর্ব ঘোষিত। জেলা নেতৃবৃন্দ লামায় আসবেন বিষয়টি আমাদের আগে জানালে আমরা এ কর্মসূচী দিতামনা।
লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন পৌর বিএনপি’র একাংশ ও উপজেলা যুবদল কর্তৃক আয়োজিত বৃহস্পতিবারের সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
