বিশেষ সংবাদদাতা :

কক্সবাজার শহর এখন চোর-বাটপার ও ছিনতাইকারীদের আখড়ায় পরিনত হয়েছে। প্রতিদিন শহরের কোন না কোন অলি-গলিতে চুরি-ছিনতাই’র শিকার হচ্ছেন জনগণ। এমনকি বাসা-বাড়িতেও বেড়েছে চোরের উপদ্রব। প্রতিদিন মানুষ টাকা পয়সা, মোবাইল, ল্যাপটপ ও ঘড়িসহ মূল্যবান জিনস পত্র হারাচ্ছেন অপরাধীদের হাতে। এতে করে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে শহরবাসীর সাথে কক্সবাজার শহরের বাইরের যাতায়াতকারীরাও।

আজ ২৪ আগষ্ঠ  সকাল ৫.৩৮টায় টায় কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক বনফুল মিষ্টির দোকানের সামনে (ইসলামী ব্যাংকের পশ্চিম পাশে) ছিনতাইকারীরা টমটমের সামনে একটি মাহিন্দ্রা দিয়ে রাস্তা ব্লক করে ছিনিয়ে নিয়েছে ওই টমটমে থাকা সাংবাদিক শামসুল হক শারেক এর বিশ্বদ্যিালয় পড়–য়া পুত্র নাঈম শারেকের ল্যাপটপ, মোবাইল ও মানি ব্যাগসহ মূল্যবান কাগজপত্র। এ সময় নাঈম রাতের গাড়ি থেকে হলিডে মোড়ে নেমে একটি টমটমে করে রোমালিয়ারছরা বাসায় যাচ্ছিল। ছিনতাইকারীরা নাঈমের কাছ থেকে ওগুলো ছিনিয়ে নিয়ে ওই মাহিন্দ্রা নিয়ে প্রধান সড়ক হয়ে বৌদ্ধমন্দির সড়ক দিয়ে পালিয়ে যায়।

সাংবাদিক শারেক জনান, নাঈম শারেক রাত ১১টায় ফেনি থেকে স্টার লাইনের কক্সবাজারগামী একটি বাসে উঠে। সকাল সাড়ে ৫টায় সে হলিডে মোড়ে পৌঁছায়। তাকে রিসিভ করতে ৫.৩২ টায় ফোন দিয়ে বাসায় বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন তিনি। ৪ মিনিট পরে নাঈম (টমটম ড্রাইভারের নং থেকে ফোন দিয়ে) জানায় তিনজন অপরিচিত ছেলে টমটম থামিয়ে তাকে ধমক দিয়ে তার কাছ থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ও মানি ব্যাগসহ মূল্যবান কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। তিনি অরো বলেন, এটি ছিনতাই শুধু নয় দিনের আলোতে (সকাল ৫.৩৮টায়) মাহিন্দ্রা দিয়ে টমটম ব্লক করে টমটম যাত্রীর কাছ থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ও মানি ব্যাগসহ মূবান কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়া ডাকাতির মতই ঘটনা। এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এধরের ঘটনা মারাত্মক বিষয়। এটি শহরের জননিরাপত্তার জন্য হুমকিও।

তিনি আরো জানান, বিষয়টি সাথে সাথে মডেল থানার ওসি রঞ্জিত বডুয়াকে জানানো হলে তাৎক্ষনিকভাবে তিনি একদল পুলিশ দিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারীদের ধরার নির্দেশ দেন। এস আই শামসুদ্দিনের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও ছিনতাইকারী কাউকে আটক করা যায়নি এবং মালামাল উদ্ধার করা যায়নি।