সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) : কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওর বেসরকারী হাসপাতালের এক্সরে রিপোর্ট নিয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারন রোগীরা। রোগে কাতর রুগীরা বাধ্য হয়ে নির্ধারিত ফি’র ৫ গুণেরও বেশি টাকা দিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে এক্সরে করাচ্ছে। কিন্তু ঈদগাঁওর অধিকাংশ প্রাইভেট হাসপাতালে দক্ষ এক্সরে অপারেটর না দিয়ে হাতুড়ে কর্মীর মাধ্যমে কাজ করায় প্রতিনিয়ত ভুল এক্সরে রিপোর্ট দেয়ায় তাই নিয়ে বিপাকে পড়ছে রোগীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের এক্সরে অপারেটররা জানান, প্রতিদিন গড়ে ১০/১২ জন রোগী এক্সরে করায়। সরকারী হাসপাতাল থেকে প্রায় পাঁচ গুন বেশী টাকা দিয়ে এক্সরে করাচ্ছে।
এসব হাসপাতালে আগত পোকখালী সিকদার পাড়ার রোগী রোকশানা আকতার জানায়, সে পড়ে গিয়ে বাম হাতের কনুতে ব্যাথা পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসককে দেখানোর পর সে এক্সরে করাতে বলেন। হাসপাতালের এক্সরে মেশিনে ৪শ টাকা দিয়ে এক্সরে করিয়ে রিপোর্ট নিয়ে পুনরায় চিকিৎসকের কাছে আসেন। তিনি রিপোর্ট দেখে কোন প্রকার ব্যান্ডেজ না করে কিছু ওষুধ লিখেন ও হাতটি গলায় ঝুলিয়ে রাখতে পরামর্শ দেন। ১৫/২০ দিন অতিবাহিত হলে ব্যাথা না কমায় সে কক্সবাজারে সার্জারী বিশেষজ্ঞকে পুনরায় দেখালে তিনি এক্সরে রিপোর্ট না দেখে সরাসরি কাগজটি দেখতে চান। কাগজটি দেখে তিনি হাতের ৩টি স্থানে ফ্যাকচার হয়েছে বলে ব্যান্ডেজ করাতে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রোগীরা জানায়, হাসপাতালের চিকিৎসকরা ডিজিটাল এক্সরে মেশিনে চেক করানোর পরামর্শ দেন। প্রতিদিন গড়ে ২০/২৫ জন রোগীকে সরকারী এক্সরে করানোর নির্দেশনাও দিচ্ছেন।
জেলা সিভিল সার্জনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, কাগজপত্র ছাড়া প্রাইভেট হাসপাতাল ডায়াগনষ্টিক ক্লিনিক গুলোর এ ধরণের অভিযোগ পেলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।