প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
২০ আগস্ট দুপুর ১২টায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৪র্থ বোর্ড সভা কউক সভাকক্ষে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে: কর্ণেল (অব:) ফোরকান আহমদ, এলডিএমসি, পিএসসি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের
আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বোর্ড সভা শুরু করেন। অত:পর বিগত বোর্ড সভার কার্যবিবরণী পড়ে শুনানো হয় এবং কোন সংশোধনী থাকায় তা দৃঢ়ীকরণ করা হয়।
পরবর্তীতে সভার চেয়ারম্যান বিষয়ভিত্তিক আলোচনা শুরু করেন এবং উপস্থিত বোর্ড সদস্যবৃন্দ প্রতিটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। তিনি জানান যে, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ১০ তলা বিশিষ্ট অফিস ভবন নির্মাণের জন্য ১.২১ একর এবং বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের জন্য কলাতলীস্থ ০.৫৫ একর জমি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ প্রদান করেন। উক্ত জমি কউকের অনুকুলে হস্তান্তর করা হলে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। উল্লেখ্য যে, কউকের অফিস ভবনের ডিপিপি বর্তমানে চূড়ান্ত অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি বলেন আধুনিক ও পরিকল্পিত নগরায়নের লক্ষ্যে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গৃহীত প্রকল্প যেমন : ক) বায়োডাইভার্সিটির উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং সংরক্ষণ কৌশল, (খ) কক্সবাজার এলাকায় উপকূলীয় অবকাঠামোর উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মূল্যায়ন এবং এর সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোতাবেলায় কার্যকরী অভিযোজন ও নিরসনের উপায় সনাক্তকরণ (গ) কর্তৃপক্ষের সীমানা নির্ধারণ ও মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। এছাড়া তিনি জানান যে, কক্সবাজার পৌরসভার সাথে সমঝোতা চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার হলে (ঘ) কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী লালদিঘী, গোলদিঘী ও বাজারঘাটা পুকুরের পাড় বাধাঁনো, বসার স্থান, আলোকসজ্জা, সবুজ বেস্টনী সহকারে ওয়াকওয়ে নির্মাণ ও আধুনিকায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
তিনি আরো জানান, অত্র দপ্তর হতে আরো কিছু প্রকল্পের প্রস্তাব (ডিপিপি) যেমন : (ক) সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি) স্থাপন, (খ) সৈকত স্কুল মোড় হতে বিমানবন্দর সড়ক সংস্কারসহ প্রশস্তকরণ, (গ) হলিডে মোড় থেকে লারপাড়া (কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল) সড়ক সংস্কারসহ প্রশস্তকরণ (ঘ) বাঁকখালী নদীর পাশে কস্তুরাঘাট থেকে বাংলাবাজার পর্যন্ত সবুজ বেস্টনী সহকারে ১৫০ ফুট প্রস্থ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প সমূহ অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রকল্প সমূহ অনুমোদিত হলে বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে পর্যটকবান্ধব আধুনিক পরিকল্পিত নগরী গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এ বিষয়ে উপস্থিত বোর্ড সদস্যবৃন্দ কউক চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদসহ সকলে সার্বিক সহযোগিতার আশ^াস প্রদান করেন। সভায় এ সকল প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
তারা বলেন, কক্সবাজারকে আধুনিকরূপে সাজাতে হলে মাস্টার প্ল্যান রিভিউ করা অতীব জরুরী। এক্ষেত্রে ওয়ার্ডভিত্তিক প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা আয়োজনের মাধ্যমে তাদের মতামত গ্রহণ পূর্বক বাস্তব অবস্থার সাথে সমন্বয় রেখে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/দপ্তরকে সাথে নিয়ে কউকের সীমানা নির্ধারণসহ মাস্টার প্ল্যান ও ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান প্রণয়ন ও রিভাইজ্্ডকরণের জন্য সিদ্ধান্ত প্রদান করেন।
সভাপতির বক্তব্যে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আধুনিক ও পরিকল্পিত নগরায়নে বদ্ধপরিকর। সকলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে মাস্টার প্ল্যান ও ইমারত নির্মাণ আইন মেনে ভবন নির্মাণ করার অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে উপস্থিত সদস্যবৃন্দ একমত পোষণ করেন। তাছাড়া একটি সুপরিকল্পিত পর্যটন নগরী গড়ে তুলতে বোর্ড সদস্যবৃন্দের সুপরামর্শ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই যথা সম্ভব বোর্ড সদস্যবৃন্দকে বোর্ড সভায় উপস্থিত থাকার জন্য সভার সভাপতি বিশেষভাবে অনুরোধ করেন।
বোর্ড সভায় উপস্থিত ছিলেন ড. মনিরুল হুদা, উপসচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ড. আবু নছর মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, উপসচিব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, মীর মঞ্জুরুর রহমান, উপ-প্রধান স্থপতি, স্থাপত্য অধিদপ্তর, লে: কর্ণেল মোহাম্মদ আনোরুল ইসলাম, সদস্য (প্রকৌশল), কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, মো: আবুল আমিন, সিনিয়র সহকারী সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, মো: নুরুল আমিন মিয়া, নির্বাহী প্রকৌশলী, গণপূর্ত বিভাগ- কক্সবাজার, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি মো: মাহিদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি মো: একরামুল হক পিপিএম, পুলিশ পরিদর্শক, কক্সবাজার সদর থানা, আবু মোর্শেদ চৌধুরী, সভাপতি- কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স, বোর্ড সদস্য ডা. সাইফুদ্দিন ফরাজি, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, এডভোকেট প্রতিভা দাশ প্রমূখ।