ডেস্ক নিউজ:
ঈদুল আযহার সময় পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। কোরবানির গরুর চামড়া প্রতি ফুট ঢাকার ভেতরে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ছাগল ও ভেড়ার ক্ষেত্রে দেশের সর্বত্র ফুটপ্রতি দাম হবে ২০ থেকে ২২ টাকা। আর বকরির চামড়ার দাম প্রতি ফুট ১৫ থেকে ১৭ টাকা।
কোরবানির পশুর চামড়ার দর সংক্রান্ত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। রবিবার (২০ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে এই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব এম আবদুল্লাহ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সুভাশিষ বোস, পুলিশের আইজির প্রতিনিধি, র্যাবের ডিজির প্রতিনিধি, চামড়া শিল্পের ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের বরাত দিয়ে মন্ত্রী জানান, এ বছর মোট কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা এক কোটি ১৫ লাখ ৫৭ হাজার। এর মধ্যে কোরবানিযোগ্য গরুমহিষ ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার এবং ছাগল ভেড়া ৭১ লাখ। তিনি জানান, ব্যবসায়ীদের দাবির কারণে কাঁচা চামড়া ঢাকা জেলার বাইরে যেতে পারবে না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘চামড়াকে ইয়ার অব দ্য প্রোডাক্ট ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে চামড়া খাতকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে চামড়াজাত পণ্য রফতানি করে ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু ট্যানারি শিল্প হাজারিবাগ থেকে সাভারে স্থানান্তরের জটিলতায় সেটি হবে না। তবে আমরা আশা করছি অন্তত ৩ বিলিয়ন ডলার আয় করবো। এ বছর চামড়াজাত পণ্য রফতানি করে ১.৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছি।’
তিনি বলেন, ‘চামড়া যেন নষ্ট না হয় এজন্য ৫ লাখ মেট্রিক টন লবণ আমদানির নির্দেশ দিয়েছি। আমাদের লবণের ঘাটতি ৩ লাখ টন। কিন্তু আমদানির অনুমতি দিয়েছি ৫ লাখ টন। ২৩২টি লবণ মিল মালিকের প্রত্যেককে ২ হাজার ১১৬ টন করে লবণ আমদানির অনুমতি দিয়েছি।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।