নিজস্ব প্রতিবেদক :

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে রোববার শহরের নুনিয়াছড়া কাঙ্গালি ভোজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আর সেই ভোজের নাম দিয়ে পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের চিহ্নিত মানবপাচারকারীরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকাও উত্তোলন করে। তবে কাঙ্গালী ভোজের নামে মানবপাচারকারীদেও চাদাবাজীর বিষয়টি শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে জানতে পারে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমান। জানতে পেরেই তিনি তাৎক্ষনিক রোববারের কাঙ্গালি ভোজ স্থগিত করে দেন। পাশাপাশি আদায়কৃত অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্যও নির্দেশনা দেন।

আওয়ামীলীগ সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী আগষ্ট মাস জুড়েই নানা কর্মসূচি গ্রহন করে জেলা আওয়ামীলীগ। এরই ধারাবাহিকতায় মধ্যম নুনিয়ারছড়ার তৈয়বিয়্যা তাহেরীয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে সকাল ১০ টায় কাঙ্গালি ভোজটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু সেই কাঙ্গালি ভোজকে কেন্দ্র করে ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতার  মদদে শহরের চিহ্নিত মানবপাচারকারী ছৈয়দ করিম, মোহাম্মদ করিম, আবু বক্কর সহ ১০/১৫ জন যুবক গনহারে চাদাবাজী করে ।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফিশারিঘাটের এক মাছ ব্যবসায়ী জানান, আজাদ, ছৈয়দ করিম, মোহাম্মদ করিম ও আবু বক্কর বৃহস্পতিবার তার কাছে আসে। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ২০ হাজার টাকা দাবী করে। এক পর্যায়ে তিনি তাদের সাথে ১০ হাজার টাকায় রফাদফা করেন। এভাবে প্রায় ২৫ জন মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দলটি চাদাবাজী করেছে।

এছাড়া স্থানীয় মুদির দোকানদার, সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে চাদাঁবাজী করেছেন মানবপাচারকারী চক্রটি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কাঙ্গালি ভোজ আয়োজক কমিটির এক প্রভাবশালী সদস্য জানান, মানবপাচার চক্রটি কাঙ্গালি ভোজের কমপক্ষে ৪ লক্ষ টাকা আদায় করেছেন। তবে ২ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আজাদের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এদিকে শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমান জানান, একটি সিন্ডিকেট কাঙ্গালিভোজের নামে চাদাবাজী করেছেন বলে তিনি কিছুক্ষন আগে জানতে পারে। তাৎক্ষনিক তিনি কাঙ্গালিভোজ স্থগিত করে দেন। পাশাপাশি আদায়কৃত টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পরবর্তীতে অভিযুক্ত সভাপতির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান।