প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করে ঘাতকরা বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মত একটি ব্যর্থ রাষ্ট বানানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বাঙ্গালী জাতি তাদের সেই পরিকল্পনা নাস্যাৎ করে দিয়ে ঘাতকদের বিচারের সম্মুখিন করেছেন। যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রক্ষা করতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল তারা এখনো দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। দেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে আগুন সন্ত্রাস করে দেশ একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসাবে চিহ্নিত করার জন্য পায়তারা চালাচ্ছে। ওই ষড়যন্ত্রকারীরা দেশের উন্নয়নকে বাধা সৃষ্টি করতে নানা মুখী তৎপরতা চালাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে দেশে উন্নয়ন হয়। কুতুবদিয়াকে আলোখিত করতে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহন করেছে। এ ছাড়া স্থায়ী বেড়িবাধ নির্মাণের জন্য ৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আগামিতে আরো উন্নয়ন হবে। আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। বিগত সময়ে যারা প্রতিনিধিত্ব করেছেন তারা কোন কাজ করেননি বলেই কুতুবদিয়া উপজেলা উন্নয়নে অনেক পিছিয়ে গেছে। বিগত সময়ে বিদেশী সাহায্য সংস্থা এই উপজেলার উন্নয়নের জন্য যা সহযোগীতা করেছেন তা কুতুবদিয়ায় ব্যয় না করে পাশ্ববর্তী উপজেলায় ব্যয় করেছেন। কুতুবদিয়ার সাথে জামায়াত বিএনপি সব সময় বিমাতাসুলভ আচারণ করেছেন। তাই আমরা ঐক্যবদ্ধা হই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাই। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবরের সভাপতিত্বে ও শহিদুল ইসলাম লালার সঞ্চালনায় অনুষ্টিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডঃ সিরাজুল মোস্তফা। প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান।
বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন মহেশখালী কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডঃ ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয় সম্পাদক খোরশেদ আলম কুতুবী, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সৈয়দ আহমদ কুতুবী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আলম কুতুবী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছফা বিকম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মেহেরুন্নেছা, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আসাদ উল্লাহ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম, মনির উদ্দিন, সেলিম উদ্দিন লিটন, সাজ্জাত হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খোরশেদ আলম ও সাধারণ সম্পাদক মিজবাহুর রহমান।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য মাষ্টার আহমদ উল্লাহ, কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এ বি ছিদ্কি খোকন, ছাত্রনেতা, বড়ঘোপ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম মেম্বার, আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব, লেইমশী আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিক উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, কৈয়ারবিল আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম খান, সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন, দক্ষিণধুরুং আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহের হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম সিকদার, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক জাফর আলম, যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম ও সাংসদের একান্ত সচিব শমসের উল্লাহ, জেলা শ্রমিক লীগ নেতা খোরশেদ আলম, যুবলীগের নজরুল ইসলাম ও সাহেল মোঃ আশেক।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।