বিদেশ ডেস্ক:
গত দুই বছরে সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতেই অপহরণের শিকার হয়েছেন তিনজন রাজপুত্র। এখন তারা কোথায় আছেন সে বিষয়ও কেউ জানে না। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির আরবি সংস্করণের নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্রে দেখা যায়, অপহরণ ও অবৈধ আটকের সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ। রাজপরিবারের সদস্যরাই তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন।
অপহৃত তিন রাজপুত্র
কয়েকজন রাজপুত্রদের সঙ্গে কথা বলে এই প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে বিবিসি। রাজবিদ্রোহী হওয়ার কারণে তাদের অনেকেই ইউরোপে বসবাস করছে। বিবিসিকে তারা সুলতান বিন তুর্কি বিন আব্দুল আজিজ, তুর্কি বিন বান্দার ও সাউদ বিন সাইফ আল-নাসির নামে তিন রাজপুত্র অপহরণের তথ্য জানান। বাদশাহ সালমান নিজে এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তারা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই তিনজন রাজপুত্র সবসময়ই রাজপরিবারের বিপক্ষে কথা বলতেন। তারা রাজপরিবারের সুবিধা প্রত্যাখান করে ইউরোপে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বেশ কয়েকটি সাক্ষাতকারে বিন আজিজ রাজপরিবারের সমালোচনা করেন। ২০১২ সালে বিন বান্দার সৌদি আরবে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে ইউটিউবে ভিডিও পোস্ট করতে থাকেন। ধারণা করা হয় ২০১৫ সালে তাদের দুইজনকেই অপহরণ করা হয়।
আল নাসির নামে সৌদ রাজপরিবারের এক সদস্যও অনেকটা একই কাজ করেন। নিজের টুইটার একাউন্টে বাদশা সালমানের সরকারের তীব্র সমালোচনা করতে থাকেন। ২০১৪ সালে মুরসির মতো সালমানকেও পদচ্যুত করার আহ্বান জানান। এক টুইটে তিনি বলেছিলেন, ‘যারা আমাকে বলছেন যে আমি নিজ পরিবারের সমালোচনা করছি। আমি বলতে চাই সত্য বলার জন্য আমি পরিবারের বিপক্ষে যেতেও প্রস্তুত আছি। তারা ক্ষুব্ধ হলেও আমি দুর্নীতির বিপক্ষে কথা বলবো।’
২০১৫ সালে ১০ সেপ্টেম্বর শেষ টুইট করা আল-নাসেরকেও অপহরণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। টুইটারে লেখা এক বার্তায় বাদশা আব্দুল্লাহর অপসারণ চান। লাখ লাখ মানুষ সেখানে লাইক দেন। চিঠিটি কে লিখেছে সেটা বলা না হলেও ধারণা করা হয় আল-নাসেরেই এমন কাজ করেছেন। এরপরই তাকে অপহরণ করা হয়।
বিবিসির এই প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনও মন্তব্য করেনি সৌদি সরকার।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।