সংবাদদাতা:
কক্সবাজার শহরের পূর্ব পেশকারপাড়ায় ছোট বোনের দীর্ঘদিনের পৈত্রিক বসতভিটা দখলে নিতে ঘরের ঘেরাবেড়া ভাঙচুর, হামলা ও ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছে সহোদর সিরাজুল হক। তছনছ করেছে বসতঘরের অনেক মূল্যবান সম্পদ। ১০ আগষ্ট সকাল ১১ টার দিকে পূর্ব পেশকারপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। ১২ আগষ্ট কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হামলা, ভাংচুর ও লুটের অভিযোগে মামলা করেছে ক্ষতিগ্রস্ত বোন খালেদা বেগম। মামলা নং- ৫৩/২০১৭। মামলার বাদী ও প্রধান আসামী সিরাজুল হক দুই জনই মৃত ছৈয়দ করিমের সন্তান।
এজারভুক্ত অন্যান্য আসামীরা হলো- সিরাজুল হকের ছেলে আবদুল্লাহ আল নোমান, আরমান, তাকি, রুমি ও স্ত্রী কহিনুর নিসা। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামী রয়েছে আরো অন্তত ১০ জন। থানায় মামলা তদন্ত চলছে।
মামলার বাদী খালেদা বেগম জানান, তিনিসহ বোন রাশেদা বেগম ও রাহেলা বেগম দীর্ঘ দিন ধরে পৈত্রিক সম্পতিত্তে বসতবাড়ী করেছে। ওই জায়গায় তারা স্থিত আছে। কিন্তু তাদের বসতভিটার জায়গা দখলে নিতে সহোদর সিরাজুল হক নানাভাবে চক্রান্ত ও অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন। অনেকবার হামলা, ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়। ১০ আগষ্ট নিজ স্ত্রী-সন্তানদের লেলিয়ে দিয়ে আবারো দীর্ঘদিনের বসতবাড়ী ও ঘেরাবেড়া ভাংচুর করে। ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও দখলবাজ দিয়ে তাদের মারধরে আহত করে বোনদের। লুট করে নিয়ে যায় বসতবাড়ীর মূল্যবান সম্পদ। এতে অন্তত ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দাবী বোনদের। এর আগেও সহোদর সিরাজুল হক কয়েকবার বসতঘর উচ্ছেদ করতে অপচেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী তিন বোন। তবে, অভিযুক্ত ভাই সিরাজুল হকের দাবী ওই জায়গা তার। বোনেরা জোর করে জায়গায় থেকে গেছে। অনেবকার বলার পরও দখল ছাড়ছেনা। ভাইয়ের এই দাবী নাকচ করে দিয়ে বোন খালেদা বেগম জানান, জালিয়াতির মাধ্যমে ডকুমেন্ট সৃজন করে সহোদর সিরাজুল হক তাদের পৈত্রিক সম্পত্তির মালিক দাবী করছেন। তাদের জায়গায় ভাইয়ের কোন অংশ নেই। এ ব্যাপারে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা অবগত।
স্থানীয়রা জানায়, সিরাজুল হক একজন ভূমিদস্যু। তার বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা রয়েছে। এছাড়া তার নামে আরো কয়েকটি মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। বোনদের পৈত্রিক সম্পত্তি দখলে নিতে সিরাজুল হকের নগ্নতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রনজিত কুমার বড়–য়া জানান, হামলা, বসতবাড়ী ভাংচুর ও লুটের অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় পরে একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।