১৫ আগষ্ট দৈনিক ইনানীসহ বিভিন্ন পত্রিকা, অনলাইন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমসহ ৪ ভাইয়ের গ্রেফতারের বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদের একাংশের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি আমি নিন্মস্বাক্ষরকারী। প্রকাশিত সংবাদের একাংশে আমি শরাফত উল্লাহ ওয়াসিমের নাম জড়িয়ে দেয়ায় আমি সত্যিই বিস্মিত ও মর্মাহত। সংবাদে আমাকে জড়িয়ে প্রকাশিত অংশটুকু সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রনোদিত, হাস্যকর ও শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মাত্র। মূলত: জাহাঙ্গীর আলম শুধুমাত্র পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতিই নন, তিনি জেলা পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য। তিনি ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে জাহাঙ্গীর আলম আমারও অভিভাবক। তাকে তার চার ভাইসহ এভাবে গ্রেফতারে আমিও ব্যক্তিগতভাবে বিস্মিত ও ব্যথিত হয়েছি। তাকে কিভাবে এবং কি কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে তা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীই ভাল জানবেন। আমিও চাই প্রকৃত সত্য উদঘাঠন হউক। আর এ ঘটনায় যদি সত্যিই কারও ষড়যন্ত্র থাকে তাহলে তা তদন্তের মাধ্যমে বের করা হউক।
আমি দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই যে, প্রকৃত পক্ষে জাহাঙ্গীর আলমের সাথে আমার পারিবারিক, সামাজিক, ব্যবসায়িক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, জমি-জমা সংক্রান্ত সহ কোন ধরণের দ্বন্ধ ও বিরোধ নেই। বরং তার সাথে দীর্ঘদিন ধরে আমার পারিবারিক ভাল সর্ম্পক বিদ্যমান। এ অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতারের বিষয়ে তার পরিবারের বরাত দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়িয়ে মূল ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে মূল ষড়যন্ত্রকারীকে আড়াল করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে করছি। যাচাই-বাছাই না করে হঠাৎ করেই এমন একটি ঘটনায় আমার নাম জড়িয়ে দিয়ে নেপথ্য নায়কদের আড়াল করে আসলে কারা লাভবান হচ্ছে তাও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যদি তাই হয়, তাহলে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা কখনো চিহ্নিত হবে না। অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ে যেমন আসল নিশানা ঠিক করা যায়না, তেমনি কোন তথ্য প্রমান ছাড়া কাউকে দায়ী করে অপপ্রচার করলেই আসল শক্র চিহ্নিত করা যাবে না। আমি জানাতে চাই যে, দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার শহরে ব্যবসা-বাণিজ্য করে আমি যখন গত ইউপি নির্বাচনে মগনামার নিজ এলাকায় প্রার্থী হয়েছি, তখন এলাকাবাসী আমাকে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে। আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিপক্ষরা দীর্ঘদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। একই সাথে বিচার-সালিশে সংক্ষুধ্ব এবং ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডে ইর্ষান্বিত মহল একযোগে জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারকে ভুল তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে মূলত: ওই তৃতীয় পক্ষটি ফায়দা হাসিল করতে চায়।
জেলার সম্মানিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্ধ, প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্ধ, সাংবাদিক সমাজ ও সচেতন মহলের কাছে আমার আকুল আবেদন এই যে, হঠাৎ করেই জাহাঙ্গীর আলমের মতো একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধির গ্রেফতারে ‘বিনা মেঘে বজ্রপাত’ এর মতো ঘটনায় আবেগতাড়িত হয়ে ও মহল বিশেষের প্ররোচনায় আমাকে দায়ী করে সাজানো কল্প কাহিনী দিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিষয়টি আদৌ কতটুকু সত্য অথবা আমার অবস্থান থেকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করার কতটুকু যৌক্তিকতা রয়েছে তা বিবেচনার দাবী রাখে। একই সাথে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সকল গোয়েন্দা সংস্থাকে এ বিষয়ে তদন্ত করারও দাবী জানাচ্ছি। এছাড়া বাস্তবতা বিবর্জিত গল্প দিয়ে সাজানো অপপ্রচার নিয়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

নিবেদক
শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম
চেয়ারম্যান
মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ, পেকুয়া, কক্সবাজার।