ইমরান হোসাইন, পেকুয়া:
পেকুয়ায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমসহ তিন ভাইয়ের মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল আ’লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনসহ সর্বস্তরের নারী পুরুষ ওই মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সংহতি প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও পেকুয়া বাজার ও ব্যবসায়ী সমিতি, চৌমহুনী ব্যবসায়ী সমিতি ও ব্যবসায়ীরা দোকানপাট নিজ ইচ্ছাই ২ ঘন্টা বন্ধ রেখে কর্ম বিরতি পালন করে।
সোমবার (১৪ আগষ্ট) বিকেল ৪ টার দিকে পেকুয়া চৌমুহনী কলেজ গেইট (এবিসি) আঞ্চলিক মহাসড়কে ওই মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। এ সময় সড়কের দু’পাশে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধনকারী সর্বস্তরের লোকজন জাহাঙ্গীর আলমসহ তার ৩ ভাইয়ের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন। ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লেকার্ড নিয়ে হাজার হাজার জনতা ওই মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সার্থক ও সফল করেন। এক সময় ওই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আক্তার হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আ’লীগের উপদেষ্টা ও পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট কামাল হোসেন, জেলা আ’লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, জেলা পরিষদ সদস্য লায়ন কমরুদ্দিন আহমদ, জেলা আ’লীগের সদস্য এস,এম গিয়াস উদ্দিন, জেলা আ’লীগের সদস্য উম্মে কুলসুম মিনু, আ’লীগ নেতা এটিএম বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির সভাপতি মাহাবুব ছিদ্দিকী, মৎস্যজীবি লীগ সভাপতি জাকিরুল ইসলাম, শ্রমিকলীগের সভাপতি নুরুল আবছার, যুবলীগের সহসভাপতি মোজাম্মেল হক, সহ-সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য শফিউল আলম, উপজেলা সৈনিক লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম হিরু, যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন, তাঁতীলীগ সভাপতি এটিএম জায়েদ মোর্শেদ, আ’লীগ নেতা ফোরকান ইলাহী, পেকুয়া উপজেলা যুব সংহতির সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী নেতা মিনহাজ উদ্দিন, তাতলীগের যুগ্ম আহবায়ক আলী হোসাইন, যুবলীগ নেতা এনামুল হক মেম্বার, পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এহেতাশামুল হক, যুগ্ম সম্পাদক ও যুবলীগ সভাপতির ছোটভাই ওসমান সরওয়ার বাপ্পী, ছাত্রলীগ নেতা ফারুক আজাদ প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আ’লীগ নেতা শহিদুল্লাহ বিএ, মাশেক আহমদ, এমকম কামাল, মফিজুর রহমান, নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল, ছৈয়দুল হক, যুবলীগ নেতা শাহজাহান, কৃষক লীগ নেতা আফতাব উদ্দিন বাবুল, উপজেলা সৈনিক লীগ সেক্রেটারী সাংবাদিক ফারুক, আ’লীগ নেতা মো: কাইছার, জাফর আলম, শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ বাচ্চু, আনসার, জয়নাল, শেখ ফরিদু, ইমরান তুষার, রেজাউল করিম চৌধুরী, আজগর আলী, আব্বাস উদ্দিন, হারুনুর রশিদ, আনসার উদ্দিন, জয়নাল আবদীন প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও তার তিনভাই অন্যায়ের শিকার হয়েছে। এটি তাদের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অস্ত্র দিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে ফাঁসানো হয়েছে। একটি পরিবারের এতগুলো সন্তান এ ভাবে চক্রান্তের শিকার হবে সেটি মেনে নেওয়া যায় না। যারা আ’লীগের রাজনীতিকে স্তব্দ করার ও বিভক্তি করার পায়তারা করছে তারা এ চক্রান্তের নীল নকশা করেছে। আমরা আ’লীগ কোন অপশক্তির কাছে মাথা করব না। এ কর্মসুচী থেকে ঘোষনা দিচ্ছি জাহাঙ্গীর নির্দোষ। তার বিরুদ্ধে এটি সাজানো নাটক। আমরা অবিলম্বে তার মুক্তি দাবী করছি। অন্যথায় কর্মসুচী ও কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করে আনব।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।