ফারুক আহমদ, উখিয়া:
উখিয়ার বালুখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় বয়োবৃদ্ধ মহিলাসহ ২ জন আহত হয়েছে। গত রবিবার রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে। আহতদের কে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে উখিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জানা যায়, উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী জমিদারপাড়া গ্রামের হাবিবুল কবিরের বাড়িতে রাত সাড়ে ৮টার দিকে একদল সন্ত্রাসী অবৈধ দেশীয় তৈরী অস্ত্রসষস্ত্র নিয়ে হানা দেয়। এক পর্যায়ে বাড়ি ঘরের দরজা, চালের টিন ও ঘেরা টেংরা ভাংচুর চালায়। এ সময় বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে হামলাকারীরা দা, কিরিচ দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্বক ভাবে জখম করে। এতে মারাত্বক আঘাতপ্রাপ্ত হয় মৃত মৌলভী কবির আহমদ মাষ্টারের স্ত্রী ছলিমা খাতুন (৭৫) ও ছেলে নাছিমুল কবির (৩৫)। শোর চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদেরকে উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে।
মামলার বাদী ও মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক হাবিবুল কবির অভিযোগ করে বলেন, আমার অনুপস্থিতির সুযোগে প্রতিপক্ষগং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে নুরুল আমিন জুনুর নেতৃত্বে একদল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী আমার বসতবাড়ী ভাংচুরসহ বয়োবৃদ্ধ মাতা ও ভাইকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। শুধু তাই সন্ত্রাসীরা বাড়িতে ঢুকে স্বর্ণলংকার ও নগদ টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানায় দু’পক্ষের মধ্যে র্দীঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসীরা এ ঘটনাটি ঘটায়।
এ ব্যাপারে আলী হোছনের ছেলে নুরুল আমিন জুনু, দিদার মিয়া, আবছার মিয়া, মোঃ কালু ও মৃত ছৈয়দ আলমের পুত্র জাহাঙ্গীর ও আলমগীরসহ ৭জনকে আসামী করে উখিয়া থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। উখিয়া থানার ডিউটি অফিসার জানান, ঘটনাটি তদন্ত পূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।