ডেস্ক নিউজ:

হল-মার্ক গ্রুফের মোট ১৩৭ একর সম্পত্তির মালিক হচ্ছে সোনালী ব্যাংক। ইতোমধ্যে আদালতের নির্দেশে ২৬ একর সম্পত্তির মালিক হয়েছে ব্যাংকটি। বাকি সম্পত্তির মালিকানার জন্য সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আদালতে আবেদন করেছে।

ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতের বিচারক রবিউল আলম এর আগে হল-মার্কের ২৬ একর সম্পত্তির ভোগ, দখল ও বিক্রির ক্ষমতা সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে প্রদান করেন।

সোনালী ব্যাংকের প্যানেলভুক্ত আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, হল-মার্কের সকল সম্পত্তির মালিকানার জন্য আমরা আবেদন করেছি। ইতোমধ্যে ২৬ একর সম্পত্তির মালিকানা আদালতের নির্দেশে সোনালী ব্যাংক বুঝে নিয়েছে। হল-মার্কের বাকি সম্পত্তির মালিকনা চেয়েও আবেদন করা হয়েছে।

সোনালী ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, হল-মার্ক গ্রুফের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৩৭ একর। ৫৭টি কোম্পানির বিপরীতে ব্যাংকে ৬১ একর সম্পত্তি বন্ধক রাখা হয়। এর মধ্যে ১৫টি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা হয়। তাদের বন্ধকী সম্পত্তির পরিমাণ ২৬ একর।

অর্থঋণ আদালত আইন (২০০৩ সালের ৮নং আইন) এর ৩৩ (৫) ধারা অনুযায়ী, হল-মার্কের ২৬ একর সম্পত্তির ভোগ, দখল ও বিক্রির ক্ষমতা সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যস্ত করা হয়।

২০১৬ সালের ৬ মার্চ বাকি ৭৬ একর সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করা হয়েছে বলেও সোনালী ব্যাংক সূত্রে জানা যায়।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর হল-মার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদ, চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদ এবং সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও ডিজিএম (সাময়িক বরখাস্ত) একেএম আজিজুর রহমানকে আসামি করে ২৭ জনের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করে দুদক। ২৭ জনের মধ্যে এজিএম কামরুল ইসলামও মামলার আসামি।

সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে হল-মার্ক ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এর মধ্যে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে পরিশোধিত (ফান্ডেড) অর্থ হচ্ছে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা।