জালাল আহমদ,ঢাবি প্রতিনিধি:
কখনো কালবৈশাখীর ঝড়ে কখনো বর্ষার তীব্র পানিতে গাছের শিকড়ের মাটি হালকা হয়ে যাওয়ায় একটু বাতাসে ঝরে পড়ে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়োবৃদ্ধ গাছগুলো। গত চার মাসে দেখা গেছে,একটু জোরে বাতাস প্রবাহিত হলেই গাছের মূল সহ একটি গাছ উল্টে আরো একাধিক গাছের উপরে পড়ে এক সাথে কয়েকটি গাছই নষ্ট হচ্ছে। এ পর্যন্ত সূর্যসেন হলের সামনে ২ টি,কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে ২ টি,মহসিন হলের ভিতরে ১ টি,কলাভবনের সামনে ১ টি গাছ পড়ে আরেকটি গাছকে আঘাত হানলে এক সাথে ২ টি গাছই লন্ডভন্ড হয়। সর্বশেষ ১৩ ই আগস্ট সামাজিক বিজ্ঞান অনুুুষদের সামনে ১টি গাছ পড়ে কয়েকটি গাছই নষ্ট হয়।গাছ গুলো দীর্ঘদিন পড়ে থাকে অযত্ন অবহেলায়। এভাবে উদ্ভিদ হানির ফলে ঢাবির সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে ।একজন উদ্ভিদ বিজ্ঞানী এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন,” নার্সারীর চারাগাছ রোপন করার কারণে শিকড় গুলো গভীরে যায় না।ফলে অল্প বাতাসে ঝড়ে পড়ে এসব গাছ”।এ ব্যাপারে ঢাবির ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক জানান, ” গাছ গুলো পুরাতন হওয়ার কারণে এভাবে বাতাসে ঝরে পড়ছে”। শিক্ষার্থীদের দাবি আগামীতে গাছের চারা রোপনের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করা দরকার। তাহলে গাছ গুলো টেকসই হবে।
ঢাবিতে একের পর এক বয়োবৃদ্ধ গাছ লুটিয়ে পড়ছে
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।