অনেকে আমাকে অনুরোধ করেন তাকে হাতকড়া পরিয়ে গাড়িতে তুলতে, হাসতে হাসতে বললেন দুবাইয়ের এক পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি গাড়ি নিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা টহল দেন। দুবাইয়ের মানুষ তো বটেই, এমনকি পর্যটকরাও মাঝে মাঝে এমন আবদার করে বসেন। তার উদ্দেশ্য জেলে যাওয়া নয়। পুলিশের ওই গাড়িতে চড়া। কারণ গাড়িগুলো এক একটি সুপারকার।

ট্যুরিস্ট পুলিশও আছেন। তার সঙ্গে অতিথিদের দারুণ সম্পর্ক। অনেকে তার ফেরারির সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলেন।

দুবাইয়ে টহল দেন যে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের সবাই কম-বেশি এমন অভিজ্ঞতার শিকার হয়ে থাকেন। কেউ তাদের সঙ্গে একটু গাড়িতে চড়তে চান।

অনেকে আবার এর জন্য আসামি হতেও রাজি। এমনিতে তো আর পুলিশ কাউকে গাড়িতে উঠিয়ে ঘোরাতে পারেন না। তাই অনেকে হাতকড় পরে চড়তেও রাজি।

শুধু বেন্টলি বা ফেরারির মতো দামি ও বিলাসী গাড়ি নিয়ে ঘোরাঘুরিই সবকিছু নয়। এরা প্রত্যেকে যার যার কাজে সুদক্ষ। তারা হাসিমুখে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তারা বিপদগ্রস্ত যেকোনো মানুষের সহায়তায় এগিয়ে যান। নারী-পুরুষ সবাই আছেন কর্মকর্তাদের এই তালিকায়।

সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মাইথা আল মুহাইররি জানান, পর্যটকরা অনেক সময়ই আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে আমি কোনো মডেল হিসাবে কাজ করছি কিনা। আমি শুধু হাসি আর বলি, দুবাই পুলিশে কাজ করি।

দুবাইয়ের জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট এলাকায় এদের দেখা মেলে। যারা নতুন এখানে ঘুরতে এসেছেন তাদের মনে নিরাপত্তার আশ্বাস ছড়িয়ে দেন। যারাই আসেন তারাই পুলিশের এমন গাড়ি দেখে হতবাক হয়ে যান।

ফার্স্ট সার্জেন্ট হামদা আল জাসমি বলেন, আমি আমার চাকরিটা ভালোবাসি। এর কারণ এই দামি গাড়ি নয়। আমার কাজ পর্যটক ও দুবাই পুলিশের মাঝে দূরত্ব কমানো।

মানুষ আমাদের কাছে আসার আগেই আমরা তাদের কাছে যেতে চাই, বললেন ফার্স্ট লেফটেন্যান্ট খলিফা বিন হুমাইদা।

সূত্র : দুবাই পোস্ট