ইমরান হোসাইন, পেকুয়া
কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য ও পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। এসময় মোঃ আলমগীর, মোঃ আজমগীর ও মোঃ কাইয়ুম নামের তার তিন ভাইকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সকলেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত।
রবিবার (১৩আগস্ট) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের চৌমুহনীস্থ বাড়ী থেকে তাদের আটক করে র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল। আটক ব্যক্তিরা একই এলাকার রমিজ আহমদের পুত্র। তাদের আটকের পর থেকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে পেকুয়া উপজেলা জুড়ে। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ সহ অনান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর রুহুল আমিন বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র মজুদের গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় জাহাঙ্গীরের বাড়ীর একটি কক্ষ থেকে দুটি দেশীয় তৈরি বন্দুক (এলজি), তার শোবার কক্ষ থেকে একটি একনলা (লম্বা) বন্দুক, দশ রাউন্ড তাজা গুলি ও নগদ ১৭লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। ভোর সাড়ে চারটা থেকে সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে এসব আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এদিকে তাদের গ্রেপ্তার করার খবর ছড়িয়ে পড়লে পেকুয়া বাজার ও চৌমুহনী স্টেশনে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, তাঁতীলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। দুই ঘণ্টা সড়কও অবরোধ করে রাখেন তাঁরা। পরে পেকুয়া বাজারে তাৎক্ষণিকভাবে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ শহিদুল্লাহ, মফিজুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা জাহাঙ্গীর ও তাঁর ভাইদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
আটকদের পিতা রমিজ আহমদ বলেন, আমার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি, মোঃ আলমগীর উপজেলা যুবলীগের সদস্য, মোঃ আজমগীর ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক, মোঃ কাইয়ুম উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এবং মোঃ ওসমান সরওয়ার বাপ্পী উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক। প্রত্যেকেই রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। এটাই কাল হয়েছে আমার ছেলেদের জন্য। ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্তের শিকার হয়েছে আমার চার ছেলে। আমি অনতিবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করছি।
এছাড়া যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চকরিয়ায়ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে আয়োজিত বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন, চকরিয়া উপজেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক জামাল উদ্দীন জয়নাল, কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম, চকরিয়া পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাইছার উদ্দীন কছির, পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মমতাজ উদ্দীন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন, চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাম্পাদক সাদ্দাম হোসেন লিটু, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক পারভেজ প্রমুখ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।