শাহী কামরানঃ
স্থানীয় প্রশাসন চুপ, নিজেদের উদ্যোগে সাঁকো তৈরী করল মিঠাছড়ির মানুষ। চলতি বছরে বন্যার কারনে সড়কটি বিলীন হয়ে শিক্ষার্থীদের ফেলেছে চরম ভোগান্তিতে। উক্ত সড়ক দিয়ে হাজারো মানুষের চলাচল। স্থানীয় প্রশাসন যখন নীরব ভূমিকায় টিক তখনি স্থানীয়দের উদ্যোগে সাকোঁ হওয়ায় খুশি পথচারীরা। এখন বোধহয় কোনমতে স্কুল মাদ্রাসায় যেতে পারবে সন্তানেরা এই বলে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললেন এক অভিভাবক।
রামু থানার ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়ন দক্ষিণ মিঠাছড়ি। এই ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত দক্ষিণ মিঠাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়,দক্ষিণ মিঠাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ,দক্ষিণ মিঠাছড়ি বালিকা মাদ্রাসা,পশ্চিম উমখালি নূরানী মাদ্রাসা সহ ৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২০০০ হাজারের অধিক। যার সিংহ ভাগই আসে আবার মিঠাছড়ি চরপাড়া, চাইন্দা চর পাড়া, সিকদার পাড়া,বড়পুকুর পাড়া,নাপিত পাড়া, ও ঘাটপাড়া থেকে। এবছরের তিন বন্যার ২য় বারের সময় দক্ষিণ মিঠাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে প্রায় ৬০ ফুট বন্যায় তলিয়ে যায়। যা পুকুরের চাইতে বেশি গভীরতার সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় অত্র ৬ টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যাতায়ত বন্ধ । প্রায় ১০ ফুট গভীর খাদে পরিণত হওয়া রাস্তা যেন এক মরণ পাড়ে পরিণত হলো। এমতাবস্থায় প্রায় মাস খানেক হলেও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সম্প্রতি গত দুইদিনের বন্যায় আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রায় অনুপযোগী এ রাস্তা। এদিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সামনে। বড্ড চিন্তায় পড়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সমাজ। জনপ্রশাসনের নীরব ভূমিকা দেখে চুপ থাকেনি সচেতন মহল। কোনমতে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে রাস্তাটি মেরামত করে দিবেন বলে আশ্বস্থ করেন এলাকাবাসী কে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।