ডেস্ক নিউজ:
একাদশ নির্বাচনে ডিজিটাল প্রচারে নামবে আওয়ামী লীগ। ডিজিটাল ডিসপ্লে হবে বড়বড় শহরে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকেই এই প্রচারণার কার্যক্রম শুরু হবে। চলবে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত। এজন্য ৬ সদস্যের একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন দেশের প্রতিটি ভোটারের কাছে পৌঁছাতে এ ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে।
এতে থাকবে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমুলক নানা কর্ম নিয়ে বিশেষ প্রামাণ্যাচিত্র। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন আগামী মাসের ২৮ সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে তার অর্জন, কর্মময় জীবন এবং আন্দোলনের ওপর সেমিনার ও প্রামাণ্যাচিত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে এ ডিজিটাল প্রচারণার কাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা ও সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি অপ-প্রচার চালাচ্ছে। তার জবাবও আমরা ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমেই দেব। সেপ্টেম্বর মাসেই ৯টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
দলের সিনিয়র নেতারা জানিয়েছেন আগামী ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকেই শুরু হবে নির্বাচনী বছর। দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলা এবং পৌরসভা এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ সভা-সমাবেশ করাসহ নানা কর্মসুচি পালন করা হবে। প্রচার করা হবে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি। এছাড়াও ১৮ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে সারাদেশের শহর-উপশহরের বিলবোর্ডগুলো প্রচারের কাজে দলের পক্ষে ভাড়া নেওয়া হবে। এসব বিলবোর্ডে দৃষ্টিনন্দন স্লোগান লিখে জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করা হবে।
বিএনপির বিগত শাসনামলের নানা চিত্র এতে তুলে ধরা হবে। ডিজিটাল ডিসপ্লে হবে বড়বড় শহরে। আওয়ামী লীগের প্রচার সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা জানান, আওয়ামী লীগের শাসনামলে যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা,জঙ্গিদমন,দেশের সার্বিক আইনশৃংখলার পরিবেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা,বেকার সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়াসহ যুবসমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নতুন-নতুন পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রচার চালানো হবে। দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন দেশের উন্নয়নে যুবসমাজকেই কাজে লাগাতে হবে। তাই ডিজিটাল প্রযুক্তিতে যুবসমাজকে শিক্ষিত করতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ঘোষিত ভিশন-২০২১ থেকে ২০৪১ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। বাংলাদেশ হবে একটি মধ্যম আয়ের দেশ। আওয়ামী লীগ সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে। আগামীতে আবার সরকার গঠন করতে পারলে দেশ থেকে দারিদ্র চিরতরে দূর করা হবে।
দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন দেশ গঠনে মানুষের কল্যাণে আওয়ামী লীগ সবসময় কাজ করে। আগামীতেও করবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং দেশকে দারিদ্রমুক্ত করতে আওয়ামী লীগ কাজ করছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলটি আবার সরকার গঠন করতে পারলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা, সোনার বাংলাই হবে।
এদিকে একাদশ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে সজাগ থাকতে বলেছেন দলের হাইকমান্ড। সদ্য অনুষ্ঠিত দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে একাধিক নেতা বক্তব্য উপস্থাপন করলে দলের হাইকমান্ড তাদেরকে জানিয়েছেন আগামী নির্বাচন কিভাবে হবে তা সংবিধানেই আছে। সংবিধানের মধ্যে থেকেই বিএনপিও ওই নির্বাচনে অংশ নেবে। আর বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে নিবন্ধিত আরও অনেক দল আছে। কাজেই চিন্তার কিছু নেই। আপনারা যে যার নির্বাচনী এলাকায় যান। সরকারের উন্নয়ন জনগনের কাছে তুলে ধরুন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।