বিশেষ প্রতিবেদক:

মসজিদের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে এক দিনমজুরের ঘর দখলের ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে একদল ভূমিদস্যু। এসময় দখলবাজদের বেপরোয়া হামলায় বসতবাড়ির একাংশ ভাংচুর করা হয়। দিন মজুরের স্ত্রী জহুরা খাতুনকে মারধর করে ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্রও লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন দিন মজুরের স্ত্রী জহুরা খাতুন। আশ-পাশের লোকজন জহুরাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পরে ভূমিদস্যুরা মসজিদের একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়ে সটকে পড়েন। এ ঘটনায় এলাকায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে কক্সবাজার শহরের পূর্ব কলাতলীর চন্দ্রিমা মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

দিন মজুর ফজলুল হকের স্ত্রী জহুরা খাতুন অভিযোগ করে জানান, শহরের পূর্ব কলাতলীর চন্দ্রিমা মাঠ এলাকায় দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ৭ শতক জমিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস করে আসছেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই কিছুদিন ধরে মধ্যম কলাতলী এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র আবু তাহের ও আবুল কাশেম তাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবী করে আসছে। চাঁদা না দিলে বসতবাড়ী থেকে উচ্ছেদ ও বিভিন্ন ভাবে হয়রাণী করা হবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিল। চাঁদা দিতে না পারায় গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে আবু তাহের, আবুল কাশেম, নুর হোছন, আমির হোছন, কামাল হোছনসহ ৭/৮ জন উশৃংখল লোক দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তার বসতবাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা ব্যাপক লুটপাট ও ভাংচুর চালায়। বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে ফজলুল হকের স্ত্রী জহুরা খাতুনকে মারধর করা হয়। এলাকাবাসী জহুরাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ভূমিদস্যু দলটি ফজলুল হকের বসতবাড়িকে ‘মসজিদ’ বানানো হবে উল্লেখ করে সেখানে ‘মসজিদের নির্ধারিত স্থান, আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম জামে মসজিদ’ নামের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়ে সটকে পড়েন। আর এ ঘটনায় পুরো এলাকায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। নানা সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী জানান, ৭ শতক সরকারি জমিতে ২০ বছর ধরে ফজলুল হক বসবাস করছেন। আর ওই বসতবাড়িকে মসজিদ করা হবে উল্লেখ করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া উচিত হয়নি। ঘরবাড়ি দখলে এভাবে মসজিদের নাম ব্যবহার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের শামিল। এছাড়া আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম জামে মসজিদ নামের কোন মসজিদ ওই এলাকায় নেই। মনগড়া মসজিদের নাম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের বসতবাড়ি দখল প্রক্রিয়া ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জহুরা।