চীফ রিপোর্টার, সিবিএন:
রামু উপজেলার খুনিয়া পালংয়ের রাবেতা আল ফুয়াদ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষকের থাপ্পরে ৮ ঘণ্টা অজ্ঞান ছিলো এক ছাত্রী। থাপ্পরের শিকার ফারহানা হামিদ ওই বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। সে খুনিয়াপালংয়ের দোয়াপালং এলাকা আবদুল হামিদের মেয়ে। বুধবার দুপুর ১২টায় বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রী কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা যায়, রাবেতা আল ফুয়াদ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক নাজমুল হক ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ফারহানা হামিদকে কানের উপর সজোরে এক থাপ্পর মারেন। এতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে থাপ্পরের শিকার ছাত্রী। অজ্ঞান হয়ে গেলেও তাকে ফেলে রাখা হয়। এভাবে ফেলে রাখার এক পর্যায়ে সহপাঠীরা ফারহানা হামিদকে প্রথমে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা মাথায় পানি দিয়ে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। শেষে তাকে স্থানীয় মরিচ্যাবাজারে পল্লী চিকিৎসকের কাছে নেয়া হলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান। পল্লী চিকিৎসক দ্রুত অজ্ঞান ফারহানা হামিদকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়েও চিকিৎসকেরা অনেক চেষ্টপা করে রাত পৌনে ৯টা নাগাদ জ্ঞান ফেরাতে পেরেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমুল হক বলেন, ‘আমি শুধু একটা থাপ্পর মেরেছি। এতে এতক্ষণ অজ্ঞান হওয়ার মানে বুঝলাম না।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।