মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি :
বান্দরবানের লামা উপজেলায় আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস’১৭ পালন করেছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সম্প্রদায়। এ উপলক্ষে বুধবার দুপুরে ‘আদিবাসী অধিকার বিষয়ক জাতি সংঘের ঘোষণা পত্রের এক দশক’ ঘোষণার বাস্তবায়ন চাই’ এ শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গন থেকে স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রী ও বিভিন্ন পেশাজীবির শতাধিক নারী পুরুষের সমন্বয়ে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি উপজেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পূণরায় কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গনে গিয়ে এক সমাবেশে মিলিত হয়। সেখানে আদিবাসী দিবস উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক চাহ্লাখইন মার্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য হাজ্বী বশিরুল আলম। বাংলাদেশ ওযার্কাস পার্টির বান্দরবান সমন্বয়ক আবুল কালাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির উপজেলা সভাপতি অংগ্য মার্মা, ম্রো যুব নেতা চম্পাট ম্রো, ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের সভাপতি ইলিশা ত্রিপুরা, ইউমেন্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক উসাংপ্রু মার্মা, ত্রিপুুরা স্টুডেন্ট ফোরামের সভাপতি বীরেন্দ্র ত্রিপুরা বিশেষ অতিথি ছিলেন।
লামা উপজেলা জনসংহতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার আসামের সঞ্চালনায় সভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে তথা সারা দেশে ৫০ আদিবাসী ভাষা ভাষির মধ্যে ইতিমধ্যে অনেক ভাষা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সরকার ক্ষমতায় আসার আগে পার্বত্যাঞ্চলের মার্মা, ত্রিপুরা, চাকমাসহ ৪৫টি সম্প্রদায়কে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। ক্ষমতায় আসার পর সরকার কথা রাখেনি বরং আদিবাসীদেরকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি হিসেবে গন্য করেছেন। এ জন্যেই আমাদের আন্দোলন। আমাদেরকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়ে আদিবাসী জাতি সমূহের জীবন ধারা উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। এ আন্দোলন শুধু জেএসএস’র নয়, এটি ৪০ লক্ষ আদিবাসীর আন্দোলন। এ সময় তারা আরও বলেন, আমরা বাঙ্গালী হওয়ার জন্য আন্দোলন করিনি। আমরা আদিবাসী ভাষা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার জন্য আন্দোলন করেছি।
লামায় আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।