রাসেল চৌধুরী:
উখিয়া-টেকনাফের আওয়ামী ঘরনার হাজার হাজার নেতাকর্মীর মন ভাল নেই। দু’উপজেলার অধিকাংশ নেতাকর্মীই চরম দু:চিন্তা আর হতাশায় ভূগছেন। প্রিয় নেতা অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরীর অসুস্থতায় মূলত তাদের এ হতাশা ও দু:চিন্তার কারণ।
নেতাকর্মীরা জানান, নানান কারণে উখিয়া-টেকনাাফের এমপি আব্দুর রহমান বদি আলোচিত সমালোচিত। আদৌ তিনি নৌকার টিকেট পাবেন কিনা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এইবার তার মনোনয়ন পাওয়াও অনেকটা দুষ্কর হবে বলে প্রচার রয়েছে। তাই বিকল্প প্রার্থী হিসাবে নেতাকর্মীদের গুড বুকে আছেন কর্মীবান্ধব জননেতা অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী। শুধু নেতাকর্মী নয়, কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দের গুড বুকেও তার নাম রয়েছে অগ্রভাগে। কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃত্বের গ্রীন সিংনেল পেয়ে মাঠে সক্রিয় ছিলেন গনমানুষের এ প্রিয় নেতা।
হামিদুল হক চৌধুরী উখিয়া-টেকনাফের বিচক্ষণ ও ব্যতিক্রম নেতৃত্বের নাম । দক্ষ নেতৃত্বগুনের কারনে তিনি অন্যদের কাছ থেকে স¤পূর্ণ রুপে আলাদা। তার দৃঢ়চেতা ব্যক্তিত্ব, সাহসী নেতৃত্ব ও অতিসাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের হয়ে কথা বলার গুনটিই তাকে অন্যনেতাদের কাছ থেকে আলাদা করে রেখেছে। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থতাজনিত কারণে তার পথচলায় ছন্দপতন ঘটে। হতাশা হয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা।
উখিয়া বঙ্গমাতা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ, উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, জননেতা হামিদুল হক চৌধুরী ঈদের দ্বিতীয় দিন ২৮ জুন উখিয়াস্থ বাড়ীতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওইদিন রাতে তাকে চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তত্বাবধানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে এয়ার এম্বুলেন্স যোগে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকার বিআরবি (গ্যাস্ট্রোলিভার) হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ডাক্তাররা জানিয়েছেন, রক্তক্ষরণ জনিত কারনে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। তারা আরও জানান, জনাব হামিদুল হক চৌধুরী দীর্ঘ দিন ধরে লিভার জন্ডিস রোগে ভোগছিলেন। সম্প্রতি তার আরও কয়েকটি রোগ ধরা পড়েছে। সব মিলিয়ে তার শারিরীক অবস্থা ভালো নয়। প্রিয় নেতার শারীরিক অসুস্থতার খবরে তার অগনিত কর্মী, সমর্থক, শুভাকাঙ্খি ও আতœীয়স্বজনের মাঝে হতাশা নেমে আসে। নেতাকর্মী, ভক্ত, শুভাকাঙ্খিরা হামিদুল হক চৌধুরীর সুস্থতার জন্য উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, গীর্জায় দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করে। মানুষের দোয়া ও আল্লাহর অশেষ রহমতে সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন তিনি। চিকিৎসা শেষে বর্তমানে জনাব চৌধুরী চট্টগ্রামস্থ বাসায় অবস্থান করছেন। উখিয়া-টেকনাফের শ শ নেতাকর্মী প্রতিদিন তাদের প্রিয় নেতাকে দেখতে তার চট্টগ্রামস্থ বাসায় ভীড় করছেন। ডাক্তাররা আপাতত কিছুদিন বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিলেও জনগনের ভালবাসার কাছে পরাস্ত হয়েছেন তিনি। প্রতিযোগিতামূলক ভাবে প্রতিদিন অগনিত মানুষ তাকে দেখতে যাচ্ছেন। প্রিয় নেতাও কাউকে হতাশ করছেন না। দুরদুরান্ত থেকে ছুটে যাওয়া মানুষদের স্নেহের পরশে বুকে জড়িয়ে নিচ্ছেন, অসুস্থ অবস্থায়ও সাধ্যমত আপ্যায়ন করছেন, ডালভাত খাওয়াচ্ছেন।
অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন। ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র মতো নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছেন। তিনি বলেন, মানুষের দোয়া ও ভালবাসায় তিনি নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন। তিনি প্রানপ্রিয় জনগনের কাছে কৃতজ্ঞতা জানান এবং মহান আল্লাহতায়ালার কাছে শোকরিয়া জ্ঞাপন করেন।
এদিকে জনাব চৌধুরী শারীরিক দুর্বলতার মধ্যেই হজ্জ্ব পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী ১২ আগষ্ট তিনি আল্লাহর ঘরের উদ্দেশ্য বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন। হজ্জ্ব থেকে ফিরে তিনি আবারও সক্রিয় হবেন রাজনীতিতে। কিন্তু সেই শারীরিক শক্তি ও সামর্থ্যের জন্য দোয়া চেয়েছেন সর্বস্তরের জনগণের কাছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।