এস. এম. তারেক, ঈদগাঁও:
কক্সবাজার সদরের গুরুত্বপূর্ণ জনপদ ঈদগাঁও’র সাথে ফরাজীপাড়া ও পোকখালীর সড়ক যোগাযোগ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন অবর্ণণীয় দুঃখ, দুর্দশার সম্মুখীন হচ্ছেন। গত মাসে প্রবল বন্যায় সড়কের ৩টি স্থানে বিশালাকার ভাংগনের সৃষ্টি হয়। বন্যার পরবর্তী জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ বাঁশের তৈরী দুটো সাঁকো নির্মাণ করে সড়কের ভাঙ্গা অংশের উপর। সে থেকে অদ্যাবধি সাঁকো দু’টির উপর দিয়ে জনগন কোনমতে এপার ওপার হচ্ছে। যান চলাচল বন্ধ থাকায় ওই সড়ক ব্যবহারকারী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রতিনিয়ত নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসায় পড়–য়া শিক্ষার্থী, রোগী ও পণ্য পরিবহণকারীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। প্রতিদিন দু’টি সাঁকো পেরিয়ে যাতায়াত করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছে, ঈদগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী তাজনোভা জাহান। অপরদিকে ওই সড়কে চলাচলরত অটোরিক্স্রা, সিএনজি এবং ইজিবাইক চালকেরাও দীর্ঘদিন ধরে বেকার বসে আছেন বলে জানান, অটোরিক্্রা চালক ছিদ্দিক, ছৈয়দ নুর, এবং শাহআলম। সবার কন্ঠে হতাশার সুর। গাড়ি চালাতে না পারায় কষ্টে আছেন সবাই পরিবার পরিজন নিয়ে। ভাঙ্গা সড়ক কবে মেরামত করা হবে তাকিয়ে আছেন সেদিকে সকলে।

ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ জানান, এমপি, জেলা প্রশাসক, ইউএনও, জেলা এবং উপজেলা প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের লোকজন বন্যার পর ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শণ করে গেছেন। তারা আশ্বস্ত করেছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সড়কের ভাঙ্গা অংশ মেরামত করা হবে। এলজিইডির সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধীন। তবে সুনির্দিষ্ট করে তিনি জানাতে পারেননি কবে নাগাদ সড়কটির ভাঙ্গা অংশের মেরামত কাজ শুরু হবে। ভূক্তভোগী লোকজন শ্রীঘ্রই যোগাযোগ ব্যবস্থা পুণঃ প্রতিষ্ঠা করতে সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানান।