বিশেষ সংবাদদাতা
শহরের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী আবাসিক হোটেল সিলভার সাইনের বিরুদ্ধে ৬ আগষ্ট স্থানীয় দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকা প্রকাশিত সংবাদকে একটি চক্রের বিশেষ ষড়যন্ত্র আখ্যায়িত করেছেন হোটেলটির পরিচালক সরওয়ার জাহান চৌধুরী।
সোমবার সকালে হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন।
সরওয়ার জাহান বলেন, আমি ব্যক্তিগত জীবনে ইয়াবাসহ সব ধরণের মাদকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসছি। আমি উখিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। জীবন জীবিকার তাগিদে হোটেলটি ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছি।
মূলতঃ আমার রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক ক্ষতি করার মানসিকতায় প্রতিপক্ষরা এই অপকৌশল বেছে নিয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, প্রতিবেদক তার সংবাদের অনুকূলে ন্যূনতমও সত্যতার প্রমাণ দেখাতে পারবেনা। সংবাদটি বিশেষ মহলের সরবরাহকৃত একটি ‘চিরকুট।’
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার (৩ আগষ্ট) পুলিশ সুপারের সঙ্গে উখিয়া-টেকনাফের রাজনীতিবিদদের মতবিনিময় সভায় কে, কি রকম বক্তব্য উপস্থাপন করেছে, কোন নেতা পুলিশ সুপারকে কি প্রস্তাবনা দিয়েছে- সব আমার কাছে স্পষ্ট।
আমার জানার বিষয়- পুলিশ সুপারের সঙ্গে ওই দিনের বৈঠক কি শুধু হোটেল সিলভার সাইন নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল? নাকি আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডাও ছিল? কোন কারণে শুধু সিলভার সাইন নিয়ে বিশেষ একজন ব্যক্তি আলোচনা তুলল? সভায় যিনি প্রস্তাবনা তুলেছেন, তার নাম ‘চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকা’য় আছে কি না? সেটি এখন তদন্তের দাবী রাখে।
প্রতিবেদক সংবাদের বিষয়ে আমার সঙ্গে একটি বারের জন্যও যোগাযোগ করেননি। তথাপিও আমার বরাতে বক্তব্য ছেপেছেন। বক্তব্য না নিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করা কি ‘ইয়েলু জার্নালিজম’ নয়? আমি ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান। রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে আমরা সুপ্রতিষ্ঠিত। প্রকাশিত সংবাদে আমার রাজনৈতিক ও সামাজিক মান চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।
সাংবাদিকমহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি আরো বলেন, আবাসিক সুবিধার পাশাপাশি অত্যাধুনিক সেলুন, সুইমিংপুল ও খাবার ব্যবস্থার কারণে পর্যটন নগরীর অনন্য নাম হোটেল সিলভার সাইন। একটি আবাসিক হোটেল হিসেবে নিয়মিত বিভিন্ন শ্রেনীর লোক স্বাভাবিকভাবে আসা যাওয়া করে থাকে। সামাজিক, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক দলের নেতারাও প্রতিদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠান কেন্দ্রিক এখানে আসেন। আবাসিক হেটেল হিসেবে বহুমাত্রিক লোক আসতেই পারে। এটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু তাই মানে এই নয় যে, এখানে ‘ইয়াবার হাট’ বসে। হাটে ইয়াবা কেনাবেচার জন্য দূরদূরান্ত থেকে লোক আসে। আর প্রশাসন এসব দেখেও না দেখার ভান করে আছে?
ওই সংবাদের ভাষ্য অনুযায়ী যেসব লোক সিলভার সাইনে আসে; রুম ভাড়া নেয়, তারা সবাই ইয়াবার হাটে আসছে- প্রতিবেদক এমনটি বোঝোতে চাচ্ছেনা? আর ইয়াবার হাট বসানো হলে কখন, কে বসিয়ে থাকে- তা সরকারী গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করা হোক। সংবাদটি সম্পূর্ণ কল্পনা প্রসুত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
সংবাদ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে আরো ন্যায়বান ও বস্তুনিষ্ট হতে হবে। মনগড়া সংবাদ ছেপে প্রশাসন ও সাধারণ পাঠককে বিভ্রান্ত করা উচিৎ নয়। ভবিষ্যতে এরকম অসত্য সংবাদ ছাপানো হলেও আমি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সংবাদে কাউকে বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উখিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান সোলতান মাহমুদ চৌধুরী ও হোটেলের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শিবু রক্ষিত উস্থিত ছিলেন।
আমাকে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাচ্ছে একটি চক্র -সরওয়ার জাহান চৌধুরী
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।