আবদুল মজিদ ,চকরিয়া :
চকরিয়ার কোনাখালী হেদায়তুল উলুম দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মৌলানা মোহাম্মদ এরশাদ উল্লাহকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে মনজুর আলম নামে এক ব্যক্তি। এনিয়ে ওই এলাকায় জনগণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আহত মাদরাসা শিক্ষক এরশাদ কোনাখালী ইউনিয়নের পূর্ব কোনাখালী সিকদার পাড়া গ্রামের মৌলানা এনামুল হকের পুত্র। এঘটনায় আহত শিক্ষক এরশাদ উল্লাহ বাদী হয়ে জেলা প্রশাসক কক্সবাজার, জেলা পুলিশ সুপার, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
হামলার শিকার শিক্ষক এরশাদ উল্লাহ অভিযোগ করেন, গত ২৯জুলাই অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মাধ্যমিক সেশনের শিক্ষকবৃন্দের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট প্রাপ্তির মাধ্যমে তিনি শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। অপর প্রতিদন্দ্বী মাষ্টার মোহাম্মদ কমর উদ্দিন আহমদ পরাজিত হয়। বিগত ৩আগস্ট মাদরাসার ৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধি উপজেলা শিক্ষা অফিসে সভাপতি নির্বাচনের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে যায়। ওই সময় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে মনজুর আলমের পিতা একজন ধার্মিক ও অত্র প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান শিক্ষক হওয়ায় আমি নিজেই প্রস্তাবক হয়ে সভাপতির পদ অলংকৃত করার পথকে উন্মুক্ত করে দিই এবং অপর দুইজন শিক্ষক সমর্থনকারী হিসেবে অভিমত প্রকাশ করায়। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন মনজুরের পিতা। কিন্তু কমর উদ্দিন পরাজিত হওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে কমরুদ্দিনের শ্যালক ও নতুন সভাপতির পুত্র মনজুর আলমের নেতৃত্বে গত ৪আগস্ট রাত এশারের নামাজের পর তার (শিক্ষক এরশাদ উল্লাহ) উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল ৫ সকাল ১০ ঘটিকায় মাদরাসা চলমান ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও শিক্ষকবৃন্দদের নিয়ে জরুরী সভা হয়। ওই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মনজুর আলমের অপরাধের সত্যতার উপর দুটি রেজুলেশন পাশ হয় ও সকল পদক্ষেপ বস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন বাদী ও প্রহৃত শিক্ষক এরশাদ উল্লাহ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।