শফিক আজাদ, উখিয়া:

সাম্প্রতিক সময়ে একের পর কোটি কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে,এর সাথে জড়িত পাচারকারীরা আটক হলেও মুল গড়ফাদাররা বারবার অধরাই থেকে যাচ্ছে। প্রশাসন পাচারকাজে নিয়োজিত ব্যাক্তিদের গ্রেফতার করার পর মুল গড়ফাদারদের ব্যাপারে ব্যাবস্থা না নেওয়ায় প্রকৃত ইয়াবা মালিকরা পার  পেয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় সচেতন মহলের অভিমত।
জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে প্রসাশনের তৎপরতায় উখিয়া টেকনাাফে বড় বড় ইয়াবার চালান আটকরে ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিনে ১৫ কোটি ৩০ লাখ মুল্যের ৩ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। বৃহস্পতিবার ভোররাত আড়াইটার দিকে সেন্টমার্টিন ছেড়াদিয়া সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এ অভিযান চালানো হয়। কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লে. জাফর ইমাম সজীব জানান, কোস্টগার্ডের একটি টহলদল মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি চালান পাচারের  গোপন সংবাদে টেকনাফ সেন্টমার্টিন চেড়া দ্বীপের পূর্ব-দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অভিযানে যায়। এ সময় মিয়ানমার সীমানা থেকে একটি ট্রলার আসতে  দেখে সংকেত দিলে ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা কালে ৩ রাউন্ড গুলি ছুড়ে ধাওয়া করে ট্রলারটি আটক করা হয়। এ ট্রলারটি তল্লাশি চালিয়ে ৩ লাখ পিস ইয়াবাসহ ৬ মিয়ানমার নাগরিককে আটক করা হয়। আটককৃতরা হল, মিয়ানমার আকিয়াব এলাকার মৃত সুলতান আহাম্মদের ছেলে রহিম উল্লাহ (৬০), মিয়রকল আলী পাড়ার মকবুল আহাম্মদের ছেলে নাজির আহাম্মদ (৬৫), একই এলাকার মৃত কাদের হোসনের ছেলে এনামুল  হোসেন (১৬), মৃত হাবিউর রহমানের ছেলে মো. করিম (১৭), মৃত মোহাম্মদের ছেলে মোঃ রফিক (১৪), মৃত রহিম উল্লাহর ছেলে মো. ফারুক (১৪)। এরা মুলতঃ ইয়াবার বাহক। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, আটক এ বিপুল পরিমান ইয়াবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত র‌্যাবের ত্রুসফায়ারে নিহত নুর মোহাম্মদের পুত্র নুরুল আমিন ফাহিম সিন্ডিকেটের। কিন্ত উক্ত সিন্ডিকেট রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। একাধিক সুত্রে জানা যায়,র‌্যাবের ত্রুয়ফায়ারে পিতা নুর মোহাম্মদ নিহত হওয়ার পর পিতা রেখে যাওয়া ইয়াবা বানিজ্যের হাল ধরেছে পুত্র নুরুল আমিন ফাহিম। স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব বিস্তার করে সে হৃীলা থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ফাহিম সহ তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাপারে একাধিক মামলা রয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারী র‌্যাবের একটি দল ৫০ হাজার ইয়াবাসহ তার মা মিনারা বেগমকে আটক করে। এছাড়াও ২০১৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর গোপন সংবাদের ভিক্তিতে চট্রগামের বায়েজিত থানা পুলিশ ৩৬ হাজার ইয়াবা,ইয়াবা লেনদেনের ৪৮ লাখ টাকা সহ ফাহিমের ছোটবোন সেলিনা আক্তার সেলি সহ ৪ জনকে আটক করে। এসব ঘটনায় মামলা হলেও তারা জামিনে বেরিয়ে এসে ফিরে যায় পুরোনো পেশায়। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টেকনাফ থানার ওসি মোঃ মইন উদ্দিন বলেন, ইয়াবার ব্যাপারে প্রসাশন বর্তমানে হার্ডলাইনে রয়েছে, তাই ইয়াবা আটকের ঘটনা গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়,এসব ইয়াবার ব্যাপারে যারা জড়িত তাদের ব্যাপারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।