এম.জুবাইদ , পেকুয়া:

সদ্যঘোষিত পেকুয়া উপজেলা বিএনপির অংশিক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু স্ব-ইচ্ছায় পদত্যাগ করায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পদত্যাগের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক এবং বিভিন্ন সংবাদপত্রে নিউজটি ফলাও করে ছবিসহ ছাপানো হলে বিএনপিসহ সর্বত্রে চলে আলোচনা ও সমালোচনা। কেউ কেউ মনে করেন তিনি কি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন, নাকি অভিমানে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন এ বিষয় নিয়ে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মাঠে ঘাটে এ আলোচনা চলছে।

কমিটি ঘোষনা পর পরই তিনি ওনার ফেইসবুক ওয়ালে অভিমান করে লিখেছেন -‘কৃতজ্ঞতা অশেষ , বিনয়ের সহিত আমি অপারগতা প্রকাশ করছি। সাথে আছি সাথে থাকব। অপরাজনীতির শিকার হয়ে নেতা হতে চাইনা। সবার ভালবাসার কর্মী হওয়া অধিক শ্রেয়। শুভাকাংখী যারা অবমূল্যায়নের অশ্রু সংবরণ করে ভালবাসার অশ্রু দিয়ে অভিনন্দনে সিক্ত করেছেন আমাকে। তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা এবং নিরন্তর শুভকামনা। আমি জানতে পারলাম পেকুয়া উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি (আংশিক) অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যেখানে আমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত করা হয়েছে। আমি উক্ত পদ থেকে পদত্যাগ করলাম। মহান আল্লাহ পাক আমাকে কর্মীর কাতারে থাকার তৌফিক দান করুন ‘- এ লিখাটি লেখার পর পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক কে ভাইরাল হয়ে যায়।

তিনি সদ্য ঘোষিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পেয়ে অভিমান করে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্তটা নেয়। ফলে এ লেখাটি লেখার পর পরই সাংবাদিকরা ফোন করতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত তিনি বাধ্য হয়ে লিখিত প্রেস নোটের মাধ্যমে পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে। উল্লেখ যে তিনি গত দু বার বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নেতাকর্মীরা জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান রাজু   পদত্যাগ করায় দলের ভাবমুতি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মনে হয়।

নেতাকর্মীদের দাবী কি কারণে তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন তা খতিয়ে দেখা দরকার। তিনি দলের দূদিনে প্রচুৃর কষ্ট করেছেন। ইউনিয়ন ছাত্রদল থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান রাজুর রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়েছে পর্যায়ক্রমে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এবং জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং পরের বারে উপজেলা যুবদলের সভাপতি শেষ পর্যন্ত বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অধিষ্টত হয়। সেই পদ নিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন। উল্লেখ যে, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন মৃত্যু বরণ করেন। এ থেকে পদটি দীর্ঘ দিন ধরে শূন্য থাকে। সাংগঠনিক পদ ছাড়াও অনেক দিন উপজেলা বিএনপির কমিটি চলমান থাকে। শেষ পর্যন্ত গত ১ আগষ্ট ২০১৭  উপজেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হয়।