শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওর প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলমান ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে ফরম সংকট দেখা দিয়েছে। সম্ভাব্য ভোটারদের মধ্যে আদৌ ভোটার হতে পারবে কিনা এ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ভোগান্তিতে পড়া এসব নাগরিকদের রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। সরেজমিন ইসলামপুর ইউনিয়নে চলমান ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমের শুরু থেকেই ফরম সংকট দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক ভোটার প্রত্যাশী নাগরিক ফরম না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। বিশেষ করে এলাকার বাইরে চাকুরী, পড়ালেখা ও কাজকর্ম ও সদ্য বিদেশ ফেরত নাগরিকরা ভোটার হতে এসে ফরম না পেয়ে চরম বিপাকে পড়েছে। কর্মক্ষেত্র থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ছুটি নিয়ে এলাকায় আসলেও ফরম না পাওয়ায় একদিকে তাদের ছুটি শেষের পথে, অপরদিকে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম দ্রুত সময়ের মধ্যে হওয়ায় ফরম সংকটের কারণে শেষ পর্যন্ত ভোটার হতে পারবে কিনা তা নিয়ে শংকা প্রকাশ করছেন অনেকে।
ইসলামপুর ইউনিয়নের মেম্বার ইদ্রিছ রানা জানান, তার এলাকায় প্রচুর সংখ্যক ভোটার হতে ইচ্ছুক লোকজন রয়েছে। কিন্তু ফরম দিয়েছে মাত্র ৩২টি। সংকটে পড়া অনেক ভোটার হতে পারছে না। বিগত সময়ে হালনাগাদ কার্যক্রম ও এ ফরম সংকটের কারণে অসংখ্য ভোটারযোগ্য নাগরিক ভোটার তালিকায় নাম উঠাতে পারেনি। এবারও একই রকম ফরম সংকট এবং পরিষদ থেকে নেওয়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহে দেরি হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এ কার্যক্রমে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা হালনাগাদ কার্যক্রম সময়সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি পর্যাপ্ত ফরম সরবরাহে সরকারের পাশাপাশি জেলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
অনুরূপ ঈদগাঁও ভাদিতলা, জাগির পাড়া, ভোমরিয়াঘোনা, কালিরছড়া, জালালাবাদ, খামার পাড়া, ফরাজী পাড়া, লরাবাক, বাহারছড়া, সওদাগর পাড়া, চৌফলদন্ডীর রাখাইন পাড়া, নতুন মহাল, ঘোনা পাড়া, পোকখালী, মালমুরা পাড়া, মধ্যম পোকখালী, রিফুজি ঘোনা, গোমাতলী, পূর্ব পোকখালী, ইসলামাবাদ, পাহাশিয়াখালী, ইউছুপেরখীল, খোদাইবাড়ী, গজালিয়া, ইসলামপুর, নাপিতখালী, ভিলেজার পাড়া, খানঘোনাসহ প্রায় এলাকায় ফরম সংকট দেখা দিয়েছে বলে অনেক ভূক্তভোগী জানিয়েছে।
কয়েকজন চেয়ারম্যান ফরম সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, যে পরিমাণ ফরম সরবরাহ করা হয়েছে তা ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। এখনো অসংখ্য ফরমহীন নতুন ভোটার রয়ে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শিমুল শর্মার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফরম সংকটের বিষয়টি তার নজরে এসেছে। ধাপে ধাপে কয়েকবার ফরম বিতরণ করা হয়েছে। কোথাও সংকট দেখা দিলে পুনরায় দেওয়া হবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বরাবরে চিঠিও পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। সদরের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে ফরম আনা হবে। কোন রোহিঙ্গা যাতে ভোটার হতে না পারে সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে। আগ্রহী কোন ভোটার যাতে বাদ না পড়ে সে বিষয়টি মাথায় রেখে সবার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ফরম চাওয়া হয়েছে। তবে সরকার কক্সবাজার জেলাকে ভোটার হালনাগাদে বিশেষ মনিটরিংয়ে রাখায় সংগত কারণে কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।