আমরা, নিম্নস্বাক্ষরকারিগণ, সমাজসেবা অধিদফতরের কর্মকর্তা -কর্মচারীদের পক্ষ হতে শ্রীমতি কুমকুম আচার্য্য, পৌর সমাজকর্মী এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
অতঃপর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সম্মানীত সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ ফরিদুল আলম স্যারকে জড়িয়ে (ইউসিডি এর অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত ) সম্প্রতি স্থানীয় সংবাদপত্র, অনলাইন পত্রিকা, দেয়ালে দেয়ালে সাটানো পোষ্টারে নানা কুরুচিপূর্ণ, আপত্তিকর, অসত্য, অতিরঞ্জিত তথ্য-উপাত্ত দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যাচ্ছেন।
শ্রীমতি কুমকুম আচার্য্য এর মৃত্যু এবং এর পূর্বাপর ঘটনাবলী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে কর্মকর্তা ও কর্মচারী এসোসিয়েশন এ মর্মে নিশ্চিত হয়েছি যে, জনাব মোঃ ফরিদুল আলম সমাজসেবা অধিদফতরে যোগদান করার পর হতে সুদীর্ঘ ১৭ (সতের) বছর সততা, সুনাম, নিষ্ঠার সাথে আর্থিক, প্রশাসনিক যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। তার ধারাবাহিকতায় তিনি জেলায় যোগদানের পর হতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনামতে সহকারী পরিচালক দায়িত্বের অবস্থান থেকে একে একে সদর, উখিয়া, রামু সহ বিভিন্ন উপজেলায় আর্থিক ও কার্যক্রমে শৃংখলা নিয়ে এসেছেন এতে সরকারী স্বার্থ রক্ষা সহ জনগনের সুযোগ ও সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আনতে অক্লান্ত, নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ঠিক সেই মুর্হুতে এক শ্রেনীর গুটিকয়েক স্বার্থান্বেষী, পরশ্রীকাতরব্যক্তি জাতিগঠনমূলক অনেক বিভাগের কর্মকর্তাদের অনুকরনীয় সেই জনাব মোঃ ফরিদুল আলম স্যার কে নিয়ে এহেন অপপ্রচার সত্যি দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক। এতে আমরা সমাজসেবা বিভাগের কমকর্তা- কর্মচারীগন শংকিত ও বিব্রতবোধ করছি এবং আমাদের অবস্থান হতে নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। বাস্তবতা এইযে, তিনি ইউসিডি দায়িত্ব গ্রহনের পর সরকারী বিভিন্ন প্রকল্প গ্রামের হিসাব -নিকাশে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা আনয়নে অভ্যন্তরীণ হিসাব নিরীক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছেন। তৎপ্রেক্ষিতে শ্রীমতি কুমকুম আচার্য্য কে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় সহযোগিতা করার নিমিত্ত পত্র দেয়া হয়। নিরীক্ষাকালে দেখা যায় যে তার প্রকল্প গ্রামে ক্ষুদ্রঋণ নীতিমালা বহির্ভূতভাবে ঋণ বিতরণ, আদায় ও ব্যাংক জমায় গড়মিল পরিলক্ষিত হওয়ায় কুমকুম আচার্য্যরে দায়িত্বাধীন ৩নং ও ৮নং ওয়ার্ডের দায়িত্ব জনাব বিধান চন্দ্র দেব কে হস্তান্তরের জন্য অফিস আদেশ করা হয়। তৎপ্রেক্ষিতে তিনি ঋণ গ্রহিতাদের তালিকা, আদায় ও অনাদায়ি অর্থের পরিমান সম্বলিত অন্যান্য কাগজপত্র সহ চার্জলিস্ট হস্তান্তরে গড়িমসি করায় তাকে তাগাদা দেয়া হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো যে, তিনি ২৭/০৫/২০১৭ তারিখে হঠাৎ সড়কে ব্যাটারি চালিত টমটম দূর্ঘটনায় মারাতœকভাবে আহত হয়ে কক্সবাজারে সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত ছিলেন এবং তিনি তিন দিন নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করেন। পরবর্তীতে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে চিকিৎসক তাকে ২১ (একুশ) দিন বেড রেস্ট এ থাকার পরামর্শ দেয়ায় তিনি এক মাসের অর্জিত ছুটির আবেদন করেন এবং ছুটিকালে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় গত ২১/০৭/২০১৭ তারিখে পরলোক গমন করেন। এসব পদক্ষেপ মানসিক নির্যাতনের কোন নমুনা বা পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হয়নি বরং বর্ণিত কর্মকর্তার কর্মতৎপরতা, দায়িত্ববোধের ও পেশাদারিত্বের প্রমান মেলে। অতএব এসব প্রচার-প্রচারনা সম্পূর্ণ কাল্পনিক, অবাস্তব, মনগড়া ও অবিবেচনাপ্রসূত। তাই আমরা সকল কর্মকর্তা -কার্মচারীবৃন্দের পক্ষ হতে সমাজসেবার সেবাগ্রহীতা, শুভানুধ্যায়ী ও নান্দনিক ক´বাজারের জনসাধারনকে এইসব অসত্য তথ্য ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে সবিনয়ে অনুরোধ করছি। অধিকন্তু আপনাদের প্রিয় সমাজসেবা অধিদফতরের কর্মকর্তা- কর্মচারীগণ রাষ্ট্রের নির্দেশনা, সরকারের সামাজিক ও মানবিক নানা কার্যক্রম এবং স্থানীয় চাহিদা মোতাবেক গৃহিত সকল সেবা ও সহায়তা প্রদানে আগের চেয়ে আরও উদ্যমী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবো, অপরদিকে পূর্বের ন্যায় আপনারা সমাজসেবা বিভাগের পাশে থাকবেন- এই কামনায়-
মোঃ এমরান খান
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার
কুতুবদিয়া, কক্সবাজার
ও
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ সমাজসেবা অফিসার্স এসোসিয়েশন
কক্সবাজার ইউনিট।
এবং
১। মোহাম্মদ তৈয়বআলী, সিনিয়রসহ-সভাপতি
২। মোঃ হারুণ অর রশিদ, সহ-সভাপতি
৩। হাছিনা আখতার, সহ-সভাপতি
৪। মোঃ ইকরামুল হক, সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ সমাজ সেবা কর্মচারী কল্যাণ সমিতি
কক্সবাজার ইউনিট।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।