মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ দুর্নীতি: জেলা পরিষদ সদস্যসহ আরো ৫ জন কারাগারে

প্রকাশ: ৩ আগস্ট, ২০১৭ ০৩:৫৬ , আপডেট: ৩ আগস্ট, ২০১৭ ০৭:১৩

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


জেলা পরিষদ সদস্য মাস্টার রুহুল আমিন ও ধলাঘাটার সাবেক চেয়ারম্যান বাচ্চু।
শাহেদ মিজান, সিবিএন:
 মহেশখালী’র মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে’র ২০ কোটি টাকা দুর্নীতি মামলায় আরো পাঁচজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার  দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে  কক্সবাজারের  স্পেশাল জজ আদালতে বিচারক ও জেলা জজ মীর সফিকুল আলম   তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পাঁচজনের মধ্যে রয়েছেন,  জেলা পরিষদ সদস্য রুহুল আমিন, ধলঘাটা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ বাচ্চু,  আমিনুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম ও মুহিবুল ইসলাম।
দুদকের আইনজীবি সিরাজ উল্লাহ জানান, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির বিপরীতে ভুয়া মালিকানা তৈরি করে ক্ষতিপূরণের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন মামলার আসামিরা। আরো ৩ কোটি টাকার চেক ইস্যু করা হলেও পরে সেই টাকা পুনরায় উদ্ধার করা হয়। টাকাগুলো উদ্ধারের জন্য তৎকালীন ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা মাহমুমুদর রহমান  ৩৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।  মামলা নং- জিআর-১০৪০/২০১৪। মামলায় তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিন, এডিসি জাফরকেও আসামী করা হয়। তাদের দু’দফায় কারাগারে যেতে হয়েছে। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছে।
তিনি আরো জানান, গত ৩ জুলাই কক্সবাজার জেলা জজ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন দুদকে তদন্ত কর্মকর্তা ছৈয়দ আহমেদ রাসেল। বৃহস্পতিবার মামলার অভিযোগ গঠনের ধার্য্যদিন ছিলো। অন্যদিকে  জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিন, এডিসি জাফর ছাড়া অন্যান্য আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে  ছিলো। তবে অভিযোগ গঠন হওয়ার ওই জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এই জন্য তারা উচ্চ আদালতের নির্দেশ মতে অভিযোগ গঠনের দিন আদালতের কাছে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোরে নির্দেশ দিয়েছেন। 
অন্যদিকে গত ৩১ জুলাই ওই মামলা আসামী তৎকালীন সার্ভেয়ার ফখরুল ইসলাম ও এটিএম বাদশা মিয়াও আত্মর্ম্পণ করে জামিন আবেদন আবেদন করেছিলেন। তবে কক্সবাজারের চীফ জড়িসিয়াল আদালতের বিচারক তৌফিক আজিজ জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। বুধবার স্পেশাল জজ আদালতে সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাফর আলম, সার্ভেয়ার ফখরুল ইসলাম ও সার্ভেয়ার এটিএম বাদশা মিয়ারও জামিন আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেননি। সব মিলে এই পর্যন্ত এই বহুল আলোচিত দুর্নীতি মাৃমলার নয় জন আসামী কারাগারে রয়েছেন।