হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :
রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিমের পিতা আলহাজ্ব মোজাফ্ফর আহমদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে…….রাজেউন)।
তিনি মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টায় নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
তার এক স্ত্রী, ছয় ছেলে ও চার মেয়ে ছিল।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় কচ্ছপিয়ার গর্জনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় রাজনৈতিক, আলেম-ওলামা, শিক্ষক ও সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি পেশার লোকজনের ঢল নামে। নামাজে ইমামতি করেন গর্জনিয়া বাজার সিরাজিয়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নুরুল আমিন।
নামাজের পূর্বে কচ্ছপিয়া আইডিয়াল কেজি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব ইদ্রিস সিকদারের পরিচালনায় মরহুমের জীবনি নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন-রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল, জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামশুল আলম মন্ডল, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী, গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা মোক্তার আহমদ, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাকের আহমদ, গর্জনিয়ার কৃতিসন্তান মাওলানা ওয়াহিদ, মরহুমের বড় ছেলে আবদুর রহিমদ ও ছোট ছেলে আবদুল হক।
জানাজা নামাজ শেষে মরহুমের মৃতদেহ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। সাদা মনের মহৎ এই মানুষের ইন্তেকালে গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া ও আশপাশ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিকেলে মরহুমের পরিবারের সদস্যদেরকে সমবেদনা জানাতে তিতারপাড়াস্থ বাড়িতে ছুটে যান কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল। এসময় তিনি তাঁদের সঙ্গে নানা বিষয়ে কূশল বিনিময় করেন। তখন এমপি কমলের সঙ্গে জেলা পরিষদের সদস্য শামশুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা মাষ্টার ফরিদ আহমদ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়–য়া প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।