ডেস্ক নিউজ:
চলতি বছর অর্থাৎ ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা হবে ১০ নভেম্বর। আজ (বুধবার) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। তিনি প্রয়োজনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘কিছু কিছু চিহ্নিত কোচিং সেন্টার ভর্তি পরীক্ষার সময় ভুয়া প্রশ্নপত্র বানিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত এবং নিরীহ অভিভাবকদের সঙ্গে প্রতারণা করে। এই চক্র প্রতিরোধ করতে হলে পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধ করতে হবে।’
মেডিকেল শিক্ষার মান নিয়ে সরকারের অনড় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, ‘মানহীন ও যথাযথ নীতিমালা না মানলে সরকার যেমন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধ করার অভিযান অব্যাহত রাখছে তেমনি প্রশ্ন ফাঁস বা ভুয়া প্রশ্ন বিতরণের মতো ঘটনাও যেন না ঘটে সেদিকেও সরকার কঠোর অবস্থানে থাকবে।’
তিনি গত বছর অনুষ্ঠিত নিখুঁত ভর্তি পরীক্ষার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে পরীক্ষা মনিটরিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানিয়ে এবারের পরীক্ষা প্রক্রিয়া নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ও সর্বোচ্চ নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করতে সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, বিএসএমএমইউ’র ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ইসমাইল খান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, বিএমএ মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক দুলাল, বাংলাদেশ বেসরকারি মেডিকেল কলেজ সমিতির সভাপতি আলহাজ মকবুল হোসেনসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।