তাজুল ইসলাম পলাশ, চট্টগ্রাম:
সীতকুন্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের দুর্গম পাগাড়ী এলাকা ত্রিপুরা পল্লী থেকে ৫ আগষ্ট শনিবার জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হবে ঘোষণা দেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।

বুধবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে সোনাইছড়ি ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, সম্প্রতি সীতাকুন্ডের ত্রিপুরা পাড়ায় মাত্র চার দিনের মাথায় সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ১০ শিশুর মৃত্যু। প্রায় এক সপ্তাহ পর জানা যায় অজ্ঞাত রোগ নয় মূলত অপুষ্টি এবং হামের কারণেই শিশুরা আক্রান্ত হয়েছে। এ ঘটনায় টনক নড়ে প্রশাসনের। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিকসহ চিকিৎসকরা ছুটে দুর্ঘম এ এলাকায়। শতাধিক শিশু আক্রান্ত হওয়ার পর সেই ত্রিপুরা পাড়ায় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের উদ্যোগে নেয় স্বাস্থ্য বিভাগ।

চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলার ৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩৮ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬ থেকে ১১ মাসের শিশুকে ১টি নীল রঙের (১ লাখ আইইউ) এবং ১২ থেকে ৫৯ মাসের শিশুকে ১টি লাল রঙের (২ লাখ আইইউ) ক্যাপসুল খাওয়নো হবে।

সিভিল সার্জন আরো বলেন, ১৪ উপজেলার ২০০ ইউনিয়নের ৬০০ ওয়ার্ডে ৩০ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শকের তত্ত্বাবধানে ভিটামিন এ খাওয়ানো হবে। ৪ হাজার ৮৬১ টিকাকেন্দ্রে ৯ হাজার ৭২২ জন স্বেচ্ছাসেবক, ৬৭৯ জন স্বাস্থ্য সহকারী ও ১৬০ জন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক দায়িত্ব পালন করবেন। নগরীতে সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সীতাকুন্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে মধ্যম সোনাইছড়ি এলাকায় যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছে ৫৭টি ত্রিপুরা পরিবার। পাহাড়ে জঙ্গল পরিস্কার এবং জুম চাষ করে ওই পরিবারগুলো জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। তাদের সাথে স্থানীয় বসতির যোগাযোগও তেমন নেই। চিকিৎসা সেবাসহ সরকারী নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ওই এলাকার বাসিন্দারা।