কক্সবাজারে ৪ লাখ ২০ হাজার ১৮১টি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী ৫ আগষ্ট অনুষ্ঠিব্য ‘জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন-২০১৭’- এ এসব শিশুকে ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এই উপলক্ষ্যে জেলা স্বাস্থ’্য সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। বুধবার বেলা ১১টায় জেলা ইপিআই স্টোর হলরুমে আয়োজিত এক অবহিতকরণ সভায় কক্সবাজারের সিভিল সার্জন আবদুস সালাম এই তথ্য জানান।
জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সিরাজুল ইসলাম সবুজের সঞ্চলনায় ও সিভিল সার্জন আবদুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অবহিতকরণ সভায় সিনিয়র সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রিয়তোষ পাল পিন্টু, তোফায়েল আহামদ ও মো. আলী জিন্নাত। এছাড়াও জেলার প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার প্রায় ৪০জন গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন। অবহিতকরণ সভায় ভিটামিন ‘এ’ বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন কার্যায়ের মেডিকেল অফিসার ডা. রঞ্জন বড়–য়া রাজন।
তথ্য মতে, আগামী ৫ আগষ্ট সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে ‘জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন-২০১৭’। এর অংশ হিসেবে কক্সবাজারে ৪ লাখ ২০ হাজার ১৮১টি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ৫৩ হাজার ১৬৩ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ৩ লাখ ৬৭ হাজার ১৮। জেলার আট উপজেলায় ১৯৫২১ টি টিকাদান কেন্দ্রে ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে স্থায়ী ৯ টি অস্থায়ী ১,৮৪০টি, ভ্রাম্যমান ২৭টি এবং অতিরিক্ত ৭৫টি কেন্দ্রে টিকাদান করা হবে। ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর দায়িত্বে থাকবেন ২৩৫ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ২১১ জন পরিবার কল্যাণ সহকারী, ৫৪০৭ জন স্বেচ্ছাসেবক। এছাড়া ২১৯ জন তত্ত্বাবধায়ক কাজ করবেন। সকাল ৮টায় থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কর্মসূচী চলবে। এছাড়াও যতক্ষণ সব শিশুকে খাওয়ানো শেষ হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত খাওয়ানো হবে। কক্সবাজার পৌর প্রিপ্যারাটরি স্কুল সংলগ্ন প্রভাতী শিশু শিক্ষা নিকেতন কেন্দ্র থেকে কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
৬ থেকে ১১মাস বয়সী শিশুদের খাওয়ানো হবে নীল রঙের ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের খাওয়ানো হবে লাল রঙের ক্যাপসুল। সব ধরণের শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে। তবে গুরুতর অসুস্থ শিশুকে না খাওয়াটাই ভালো। এছাড়া চার মাসের মধ্যে যে শিশু ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়েছে তাকে আর খাওয়াতে হবে না। জেলার বিভিন্ন স্থানে থাকা রোহিঙ্গা শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
স্বাস্থ্য বুলেটিন মতে, ভিটামিন ‘এ’ প্রধানত শিশুদের অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে রক্ষা করে। শুধু তাই নয়, এই ভিটামিন শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল জটিলতা কমায় এবং শিশুর মৃত্যুও ঝুঁকি কমায়।
সিভিল সার্জন আবদুস সালাম বলেন, ‘জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন-২০১৭’ সফল করতে সবাই সজাগ হতে হবে। কোনোভাবেই একটি শিশুও বাদ যেতে পারবে না। এ ব্যাপারে সরকার খুব সিরিয়াস। তাই গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইন ও ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর খবর ছড়িয়ে দিতে। একই সাথে অভিভাবকদেরও আন্তরিক হতে হবে।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।