টেকনাফ সংবাদদাতা:
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের রাজারছড়া গ্রামের হতদরিদ্র জেলে মোহাম্মদ শফি মায়ানমারের মলরাটং মেনিগং কারাগারে মুক্তির প্রহর গুনছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
বিগত ৮ বৎসর পূর্বে বঙ্গোপ সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। দীর্ঘ দিন তার খোঁজ না মেলায় আশাহত ছিল পরিবার। অবশেষে কয়েক দিন পূর্বে এক ব্যাক্তি মায়ানমারের সেই জেল খানা থেকে ফিরে এসে পরিবারের কাছে জানান মোহাম্মদ শফি বার্মার মলরাটং মেনিগং কারাগারের ৭ নং ওয়ার্ডে আছেন, তার হাজতী নম্বর ০০৯২৫৬। খবর পেয়ে মোহাম্মদ শফির পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের মধ্যে ফিরে আসে স্বস্তি। দীর্ঘ ৮ বৎসর ধরে নিখোঁজ বাবা জীবনে আছেন এমন সংবাদ পেয়ে ৩ মেয়ে ১ ছেলে ও স্ত্রীসহ এলাকাজুড়ে খুশী। তবে কবে বাবাকে দু নয়নে দেখবে , ফিরে আনার ব্যবস্থা করবে কে বাবাকে। কলিজার টুকরো সন্তানরা যাচ্ছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে, একটিই কথা বাবাকে ফিরে পেতে আপনার সহযোগিতা চাই।
মোহাম্মদ শফির অবুঝ সন্তানদের মুখে হাঁসি ফুটাতে চেষ্ঠায় নেমেছেন রাজারছড়া এলাকার হাজী নজির আহমদ ও আবদুল করিম।
তারা মোহাম্মদ শফিকে মায়ানমারের কারাগার থেকে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র, আবেদন ও বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ শুরু করেছেন বলে জানান ।
আবদুল করিম আরো বলেন ৮ বৎসর পূর্বে সাগরে যাওয়ার সময় রাজারছড়া এলাকার মৃত: উম্মত আলীর পুত্র মোহাম্মদ শফি ( আইডি নং- ২২১৯০৬৩৬২৭৬৪৫) ও গোলাম হোসাইনের পুত্র রশিদ আহমদ ( আইডি নং- ২২১৯০৬৩৫৬৪২০১) একই সাথে ছিলেন, তবে এখনো রশিদ জীবন বেঁচে আছে কিনা জানেনা পরিবার।
তাদের পারিবারিক সুত্রে জানা যায় বছরের পর বছর ধরে উপার্জনাক্ষম ব্যক্তি কারাগারে আটক ও নিখোঁজ থাকায় পরিবার-পরিজন চরমভাবে অর্থ ও মানষিক কষ্টে ভুগছেন।
তাদের ফিরিয়ে আনতে কাগজ পত্রের প্রসেসিংসহ সকল বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করছেন ভোক্তভোগিরা। প্রয়োজনে: ০১৮১১২৭৭৩২১।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।