গত ৩০ জুলাই টেকনাফ নিউজ ৭১ ডট কম অনলাইন পোর্টালে টেকনাফের নাইট্যং পাড়া হেচ্ছাখাল দিয়ে শাহ আলম কাউন্সিলরের নেতৃত্বে আসছে ইয়াবা ও স্বর্ণের চালান শিরোনামে সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদে আমার নেতৃত্বে ১০/১২ জনের ইয়াবা সিন্ডিকেট নাইট্যংপাড়া টার্মিনালকে নিরাপদ স্থান হিসাবে ব্যবহার করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা মোটেও সত্য নয়। এটি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি একজন এলাকার জনপ্রতিনিধি, আমার পরিবারে পাঁচ ভাই সৌদি প্রবাসী। নিজে মাছের ব্যবসা করি এবং ভাই এর ডিলারের ব্যবসা রয়েছে। তবে মরন নেশা ইয়াবা ও স্বর্ণের অবৈধ ব্যবসা করে আমাদের চলতে হবেনা। কারা টেকনাফের হেচছার খাল ব্যবহার করে ইয়াবা ব্যবসায় রাতারাতি আলাদিনের চেরাগ পেয়েছে তা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অবগত। টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর কহিনূর আক্তার স্বামী শাহ আলমের নেতৃত্বে আব্দুল আজিজ, আবু তাহেরসহ কয়েকজনের একটি সিন্ডিকেট হেচছার খাল তথা নাইট্যং পাড়া নাফনদী সীমান্ত ব্যবহার করে ইয়াবা ও স্বর্ণের চালান পাচার করছে। এসব ইয়াবা ও স্বর্ণ তাদের নিজস্ব বাস, মাইক্রো ও সিএনজি যোগে সু-কৌশলে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে থাকে। এমনকি ইয়াবা ও স্বর্ণ পাচারের ঘটনায় স্থানীয় অনেক লোককে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে তুলে নিয়ে বেঁধে রেখে টাকা আদায়ের ঘটনাও রয়েছে। কিন্তু তাদের অস্ত্র ও বাহু বলের কারনে মানুষ মূখতে সাহজ পায়না। এ সিন্ডিকেটটি উল্টো আমার ঘারে তা ছাপিয়ে দিয়ে প্রশাসনসহ এলাকাবাসীর কাছে হেয় পতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। টেকনাফের ইয়াবা ডন হিসাবে পরিচিত উপজেলার শাহ আলম এক সময় সামান্য বেতনে এনজিও সংস্থা শেডে চাকরী করত। এর পর উপজেলা হাসপাতালের সামনে একটি চায়ের দোকান করে আসছিল। হঠাৎ করে ইয়াবার ছোয়াই রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যায়। বর্তমানে তাদের স্বশস্ত্র ভাড়াটিয়া বাহিনী রয়েছে। তাছাড়া ইয়াবা ব্যবসা করে চট্রগ্রাম ও টেকনাফে একাধিক বাড়ী, অসংখ্য জমি-জামার মালিক বনে যায়। তাছাড়া নামে-বেনামে রয়েছে একাধিক মিনিবাস, মাইক্রো ও সিএনজি। এ সিন্ডিকেট নিজস্ব পরিবহনে ইয়াবা ও স্বর্ণ পাচার করে যাচেছ। এদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা একটু নজর দিলে তলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। মূলত গত শুক্রবার দিবাগত রাতে আমার বাড়িতে ইয়াবা ”ডন” শাহ আলমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী স্বশস্ত্র হামলা চালায়। এ হামলায় আমি, অন্তঃসত্তা স্ত্রী তসলিমা, ভাই জাহেদ আলম, বৃদ্ধ বাবা হাজী সোনা মিয়া, অন্তঃসত্তা বোন জেসমিন, ভাইর বউ নাসিমা, মোঃ রফিক, আহমদ হোছন, আবদুল হামিদ ও হোছন আহত হয়। এ ঘটনাকে নানা রুপ নিতে ইয়াবা ”ডন” শাহ আলম ও তার স্ত্রী উল্টো হামলার ঘটনা সাজিয়ে মামলা ও অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। এ সংবাদটি তারই একটি অংশ মাত্র। এ ইয়াবা ডনরা নিজেদের কু-কর্ম আড়াল করতে সংবাদ মাধ্যমকে বেঁচে নিয়ে অনলাইন পোর্টালের মালিক সেজে অপকর্ম ঢাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচেছন। এ পোর্টালে আমার বিরুদ্ধে যে বিভ্রান্তি মূলক সংবাদ প্রকাশ করা হচেছ তা নিয়ে আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হব। তাছাড়া এ সংবাদটি তদন্ত পূর্বক কারা এর সাথে কারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।
শাহ আলম মিয়া
কাউন্সিলর, টেকনাফ পৌরসভা।