সিবিএন:
চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদ বিষয়ে কক্সবাজারের গষমাধ্যমকর্মীদের সাথে দেশের অন্যতম বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) কোস্ট ট্রাস্ট এবং জেলা নির্বাচন অফিসের যৌথ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শিমুল শর্মার স্বাগত বক্তব্যে শুরু হওয়া সভায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হোসাইন বলেন, চলমান ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকাভুক্তি যে কোন উপায়ে ঠেকাতে হবে।
তিনি বলেন, সারাদেশের ২২টি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে কক্সবাজার জেলার ৮ টি উপজেলাই রোহিঙ্গাদের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে জেলায় অনেক রোহিঙ্গা নাগরিক ভোটার হয়ে গেছে। আগামীতে কোন ভিনদেশী যাতে ভোটার হতে না পারে সে বিষয়ে জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রকৃত বাংলাদেশীদের ভোটার হওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
‘সঠিক তথ্য দিয়ে ভোটার হোন, ভোটার তালিকা হালনাগাদে সহায়তা করুন’ এই প্রতিপাদ্যে কোস্ট- এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক (ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ) মোহাম্মদ ইউনুছের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ বিষয়ে বক্তৃতা করেন প্রকল্প সমন্বয়ক মকবুল আহমদ, দৈনিক রূপালী সৈকতের সম্পাদক প্রবীন সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী, পৌর কাউন্সিলর আশরাফুল হুদা ছিদ্দিকী জামশেদ, এসআইএম আকতার কামাল, কোস্টের প্রকল্প ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
এ সময় প্রকল্প সমন্বয়ক (ইনচার্জ) এস.এম ইকবাল হোসেন, মনিটরিং অফিসার শাহীনুর ইসলাম, আইটি সমন্বয়ক তৌহিদুল আলমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সুত্র জানায়, ১ জানুয়ারী ২০০০ বা তার পূর্বে জন্মগ্রহণকারী এবং ইতোপূর্বে যারা হালনাগাদে বাদ পড়েছেন, তাদের ভোটার তালিকাভুক্তির তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তালিকা অপডেট করার জন্য মৃত ভোটারদের তথ্য নেয়া হবে। ১৯৭২ সালের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল বা ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দন্ডিত ব্যক্তি ভোটার হতে পারবেন না। হয়ে থাকলে ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে। ইতোপূর্বে ভোটার হওয়ার জন্য যারা আবেদন ফরম পূরণ করেছেন, ছবি তুলেছে কিন্তু পরিচয়পত্র পায়নি তাদের নতুনভাবে ভোটার হওয়ার প্রয়োজন নাই। ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে।
নির্বাচন অফিস আরো জানায়, ২৫ জুলাই থেকে সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারে চলছে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম। ৯ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য নিবে নিয়োজিত কর্মীরা। তিনটি ধাপে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকার কাজ শুরু হবে ২০ আগস্ট থেকে। শেষ হবে নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে।
৮ উপজেলায় তথ্য সংগ্রহের জন্য ৯১টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৪৬ জন তথ্য সংগ্রহকারী এবং ২১৯ জন সুপারভাইজার নিযুক্ত করা হয়েছে। জেলায় মোট ১৩ লাখ ১৭ হাজার ৬৩২ জন ভোটারের সঙ্গে হালনাগাদ হতে যাওয়া নতুন ভোটার যুক্ত হবে। মোট ভোটারের সাড়ে ৩ ভাগ নতুন ছবিযুক্ত ভোটার এ তালিকায় স্থান পাবে। এ হিসেবে জেলায় হালনাগাদ তালিকায় ৪৬ হাজার ৬৫৯ জন নতুন ভোটার যুক্ত হবেন।
প্রথমধাপে ২০ আগস্ট মহেশখালীতে ৭ হাজার ৭৫০, কুতুবদিয়ায় ২ হাজার ৮২৩, এবং টেকনাফে ৫ হাজার ৪৫ জন ভোটারের কাজ করা হবে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দ্বিতীয় ধাপে চকরিয়ায় ৯ হাজার ৫০০, পেকুয়ায় ৩ হাজার ৬৪৮ এবং উখিয়ায় ৪ হাজার ১৪৫ জন ভোটার। সর্বশেষ নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৮ হাজার ৪১৬ এবং রামু উপজেলায় ৫ হাজার ৩৩২ জনকে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকায় স্থান দেয়া হবে। তথ্য সংগ্রহকারীর সুযোগ নিয়ে ভিন দেশী কেউ ফরম পূরণ করে তবে বিশেষ কমিটির সভায় তা বাতিল করা হবে।
উল্লেখ্য, জেলায় বর্তমানে ১৩ লাখ ১৭ হাজার ৬৩২ জন ভোটার রয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।