শাহেদ মিজান, সিবিএন
কক্সবাজারের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান উন্নয়নের সরকারকে জনগণ ও বর্হিবিশ্বের কাছে বিতর্কিত করতে ষড়যন্ত্র্র করছে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তাই সরকার ও জনগণের মাধ্যম খ্যাত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত ৫৭ ধারা ছাপিয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে ছাপিয়ে এই ৫৭ ধারা বাতিলে তালবাহনা করছে ইনু। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ থাকার পরও মিডিয়া মালিকদের সাথে অনৈতিক আঁতাত করে নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করছেন না ইনু। এসব অপচেষ্টার মাধ্যমে সাংবাদিকদেরকে সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করছেন তিনি।’
রোববার সকাল ১০টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন কর্তৃক আয়োজিত ‘তথ্যমন্ত্রী হাসানুর হক ইনুর অপসারণের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, হাসানুল হক ইনু কোনোদিন বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার মানুষ ছিলেন না। এখনও তিনি শেখ হাসিনার মানুষ নয়। সরকারের ভেতর ঘাটটি মেরে বসে থাকা সরকার বিরোধী এক প্রেতাত্মা তিনি। ইনু বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে যেমন উল্লাস প্রকাশ করেছিলেন, এখনো তেমনি আছেন। সে ধারায় থেকে সরকারের ভেতরে ঢুকে সরকারকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। ৫৭ ধারা চাপিয়ে দিয়ে গণমাধ্যম ও জনগণের কথা বলার অধিকার হরণের একমাত্র আয়োজনকারী ইনুই। এই আইনের ফলে সরকারের উন্নয়ন ও জনপ্রিয়তা ভেস্তে যাচ্ছে। তারপরও ইনু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার ভুল বুঝিয়ে এই বিতর্কিত আইনব বাতিলে তালবাহনা শুরু করেছে।
৫৭ ধারাকে ‘কালাকানুন’ উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, ৫৭ ধারার কারণে দেশের সাংবাদিদের কলম আজ থেমে যাওয়া উপক্রম হয়েছে। চারিদিকে দুর্নীতিবাজ, গড়ফাদার, সন্ত্রাসীসহ অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠলেও তাদের বিরুদ্ধে লেখা যাচ্ছে না। লিখতে গেলেই ৫৭ ধারা ‘কালাকানুন’ হয়ে ঝাপটে ধরছে। এই ৫৭ ধারাকে অপব্যবহার করে অপরাধীরা সামান্য বিষয়টি নিয়ে পর্যন্ত মামলা টুকে দিচ্ছে। এতে বাছবিচার না করেই জাতির বিবেক সাংবাদিকদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হচ্ছে। এতে ভয়ে অন্য সাংবাদিকেরা কিছু করার সাহস পাচ্ছে না।
অন্যদিকে নবম ওয়েজবোর্ড নিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, জীবনযাত্রার মান অনেক বেড়ে গেছে। এ কারণে সব ধরণের পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এর ফলে দেশের সব স্তরের মানুষের আয় বেড়েছে। কিন্তু নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন না করার কারণে সাংবাদিকেরা যথাযথ বেতন-ভাতা পাচ্ছে না। একারণে সাংবাদিকেরা পরিবার নিয়ে আর্থিক সংকটে দিনাতিপাত করছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ দেয়ার পরও তথ্যমন্ত্রী নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করছে না। তিনি মিডিয়া মালিকদের সাথে অনৈতিক আতাঁত করে নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করছে না।
বিতর্কিত ৫৭ ধারবাতিলে ষড়যন্ত্র ও নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে গড়িমসি করায় হাসানুল হক ইনুর তথ্যমন্ত্রী পদে থাকার অধিকার নেই বলে দাবি করে সরকার বিরোধী এই ষড়যন্ত্রকারীর দ্রুত অপসারণ দাবি করেছেন নেতৃবৃন্দ। এই জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেনও করেন তারা।
কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী, বিশ্বজিত সেন, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রশীদ, দৈনিক সকাল কক্সবাজার সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক দীপক শর্মা দীপু, দেশবিদেশ’র প্রধান প্রতিবেদক এম আর মাহবুব, দৈনিক কক্সবাজার’র সিনিয়র প্রতিবেদক মাহবুবুর রহমান, এসএ টিভির জেলা প্রতিনিধি আহসান সুমন ও রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজার’র সভাপতি এইচএম নজরুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া কক্সবাজারের পেশাদার সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।