টেকনাফ সংবাদদাতা:
টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে শালার হাতে চুরিকাঘাতে দোলা ভাই খুনের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় শ্যালক পলাতক থাকায় জনমনে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ২৯জুলাই ভোররাত ৩টারদিকে উপজেলার হ্নীলা নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড ক্যাম্পের সি-ব্লকের এমআরসি (৬৯৩৯২) ৮২৩নং শেডের পাশে বর্ধিত অংশের বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ শফির পুত্র মোহাম্মদ রশিদ (৪২) পারিবারিক কলহের জেরধরে স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (৩৫)কে মারার জন্য ক্যাম্পের বাহিরে বর্ধিতাংশে শালা হাবিবুর রহমানের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হয়। এই খবর পেয়ে স্ত্রী ফাতেমা কৌশলে বাড়িতে ফিরে আসে। এরপর রশিদ আর ফিরে আসেনি। ভোররাত ৪টারদিকে সে ফিরে না আসায় স্ত্রী খুঁজতে বের হলে বাড়ির কিছুদূরে চুরিকাঘাতে মোহাম্মদ রশিদের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে কান্নাকাটি করে হৈ চৈ শুরু হলে লোকজন জড়ো হয়ে রক্তাক্ত দেহটি উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার এসআই জসিম উদ্দিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের স্ত্রী ফাতেমাকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছেলে হারুন অর রশিদকে থানায় নেওয়া হয়েছে। অপর একটি সুত্র দাবী করছে সম্প্রতি এই ক্যাম্পে ইয়াবা সেবন প্রাদূর্ভাব আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। ইয়াবা সেবন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নিহত রশিদ খুন হয় বলে মন্তব্য করতে শুনা গেছে। টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শেখ মোঃ আশরাফুজ্জামান বলেন,লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।