মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি :
বান্দরবানের লামা উপজেলার জনতা ব্যাংক ক্যাশিয়ার মো. আবু সায়েম‘র বিরুদ্ধে গ্রাহকদের মাঝে প্রতিনিয়ত জাল টাকার নোট সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছে। ব্যাংক কর্তৃক অহেতুক হয়রানির ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতারণার শিকার কয়েকজন গ্রাহক গুরুতর এ অভিযোগ তুলেন। ক্যাশিয়ারের এমন কার্যকলাপের কারণে দায়িত্বশীল অর্থলগ্নী এ প্রতিষ্ঠানটির দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। পাশাপাশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রাহকরা।
অভিযোগে জানা যায়, সাধারণত ব্যাংকারদের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ও ভীড়ের কারণে গ্রাহকরা উত্তোলিত মোটা অংকের টাকা কাউন্টারে গুণে বুঝে নেওয়ার সুযোগ থাকেনা। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গ্রাহকদের বান্ডিলে জাল নোট দিয়ে আসছেন জনতা ব্যাংক ক্যাশিয়ার মো. আবু সায়েম। পরবর্তীতে অন্যত্র লেনদেন করার সময় জাল নোটটি চিহ্নিত হয়। সম্প্রতি জনতা ব্যাংক থেকে উত্তোলিত একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতনভাতার টাকার বান্ডিলে এক হাজার টাকার একটি জাল নোট পাওয়া যায়। একই ভাবে সাধারণ গ্রাহকরাও প্রতিনিয়ত উত্তোলিত টাকার বান্ডিলে একটি করে হাজার টাকার জাল নোট পাচ্ছেন।
ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, জাল টাকা সরবরাহকারীদের সাথে ব্যাংক ক্যাশিয়ারের হয়তো যোগসাজশ রয়েছে। বেশি টাকা উত্তোলনকারী গ্রাহকদেরকে টার্গেট করেই জাল টাকা প্রদান করা হয়। পরে চিিহ্নত জাল নোট ফেরত দিতে গেলে ব্যাংকাররা কোন সমাধান না দিয়ে নোটটি লাল কালিতে ক্রস করে দেন। এছাড়া প্রতিমাসে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সাথেও ওই ক্যাশিয়ার দুর্বব্যবহার করেন। গ্রাহকরা জানায়, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা কোন গ্রাহক থেকে পুরাতন ও ৫, ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নোটের বান্ডিল জমা নেননা, উপরন্ত দুর্ব্যবহার করেন অভিযুক্ত ক্যাশিয়ার আবু সায়েম। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গ্রাহকরা।
এ বিষয়ে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার মো. আবু সায়েম বলেন, আমরা নতুন যোগদানকারি। সততা নিয়ে কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য। কাউকে স্বজ্ঞানে নকল টাকা দেয়া হয়নি, অজ্ঞাতসারে কারো কাছে নকল নোট যেতে পারে। কারণ অন্য ব্যাংক থেকে এক সাথে ৫০-৬০ লাখ টাকা আনতে হয়; তা ভালোভাবে হয়তো দেখে নেয়া হয়না। একই টাকা আবার গ্রাহকদের মাঝে সরবরাহ করা হয়। সেখানে হয়তো নকল নোট থাকতে পারে। তিনি বলেন, গ্রাহকরা ছেড়া নোট নেয়না; বেশি ছেঁড়া নোট বাংলাদেশ ব্যাংকও নেয়না। আমরা নিয়ে কি করবো। তিনি আরো বলেন, অনেক সময় নজর এড়িয়ে নকল নোট আমাদের ক্যাশে জমা হয়। নিজের ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম-সততা বঝায় রাখার তাগিদে আমরা সেসব নোট ছিড়ে ফেলি।
জনতা ব্যাংক লামা শাখার ব্যবস্থাপক শোয়েবুল ইসলাম বলেন, ক্যাশিয়ার কর্তৃক জাল টাকা সরবরাহের ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। তবে ৫-১০ টাকা ও পুরাতন ছেঁড়া নোট নিচ্ছেন না এমন কথা শুনা গেলেও এখন আর সেটি হচ্ছেনা।
লামায় জনতা ব্যাংক ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে জাল টাকা সরবরাহের অভিযোগ
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।