ডেস্ক নিউজ:
৫৭ ধারা কোনও সাংবাদিক নির্যাতন বা দমন নিপীড়নের জন্য নয়, এটি সাইবার অপরাধ দমনের জন্য বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। আজ বুধবার সকালে রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠ আশুলিয়ার বড় কাঠগড়া এলাকায় পিকার্ড কমিউনিটি স্কুল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এই আইন (৫৭ ধারা) ব্যবহার করা হয়নি। এই তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা কখনও সাংবাদিকদের জন্য তৈরি করা হয়নি, এটা সব নাগরিকের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। নাগরিকদের নিরাপত্তাসহ দেশের নিরাপত্তার জন্যই এই আইন তৈরি করা হয়েছে। রাষ্ট্র, সরকার, মন্ত্রী অথবা এমপিদের সমালোচনা করার জন্য কোনো সাংবাদিকের ওপর কখনও তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা প্রয়োগ করা হয়নি।

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “গণতন্ত্রের ভেতর থেকেই বাংলাদেশ সরকার জঙ্গিদের দমন করছে। ” জঙ্গিরা ধরা পড়লে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। তাই এই দেশে রাজাকারদের কোনও ঠাঁই নেই। একটু দেরিতে হলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে। বাংলাদেশ সরকার এখন তিনটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে। তার একটি হলো জঙ্গি তৎপরতা নস্যাৎ করে দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করা। দ্বিতীয়টি হচ্ছে বৈষম্যমুক্ত উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ। উন্নয়নও হবে, বৈষম্য থাকবে না, উন্নয়নও হবে দারিদ্র্যও উচ্ছেদ হবে। আর তৃতীয়টি হচ্ছে দলবাজিমুক্ত সুশাসনের জন্য চ্যালেঞ্জ। ”

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “বাংলাদেশে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে বর্তমান সরকার। তাই শিল্পপ্রতিষ্ঠানে মালিকপক্ষকে শ্রমিকদের সব রকমের সুযোগ সুবিধা প্রদানেরও পরামর্শ দেন তিনি।

পিকার্ড কমিউনিটি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, “পিকার্ড কমিউনিটি স্কুলে বিনামূল্যে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের পড়াশুনার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এই স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৪০ জন। ” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পিকার্ড কমিউনিটি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সাইফুল ইসলামসহ আরও অনেকে।