তাছাড়া কুরআন এবং হাদিসে নামাজের অনেক ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। সময় মতো জামাআতের সঙ্গে নামাজ আদায়, নামাজের জন্য মসজিদে হেঁটে যাওয়া এবং জামাআতে নামাজ পড়ার জন্য অপেক্ষাকারীর গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত বর্ণনা করেছেন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘বাড়ি বা বাজারে একাকি নামাজ আদায়ের চেয়ে জামাআতে নামাজ আদায়ে ২৫ গুণ বেশি ছাওয়াব রয়েছে।
কারণ, তোমাদের কেউ যখন ভালো করে অজু করে এবং শুধুমাত্র নামাজের জন্য মসজিদে যায়; তখন মসজিদে পৌঁছা পর্যন্ত প্রতিটি পদে পদে আল্লাহ তাআলা তার একটি করে মর্যাদা বাড়িয়ে দেন এবং একটি করে গোনাহ মিটিয়ে দেন।
আর (ওই ব্যক্তি) যখন নামাজের জন্য মসজিদে প্রবেশ করে অপেক্ষা করতে থাকে তখন সে সময়টুকু নামাজ হিসেবে পরিগণিত হয়। আর যে স্থানে নামাজ আদায় করেছে সে স্থানে অজু অবস্থায় অপেক্ষা করে, ওই সময়টি তার জন্য ফেরেশতাগণ রহমতের দোয়া করতে থাকেন।
তাঁরা (ফেরেশতারা) বলেন, ‘হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করুন এবং তার প্রতি দয়া করুন।’ (বুখারি ও মুসলিম)
উল্লেখিত হাদিসের আলোকে প্রমাণ হয় যে, নামাজই একমাত্র ইবাদত যা মানুষকে পরকালের সফলতায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এ কারণেই হাদিসে এসেছে, ‘কিয়ামতের ময়দানে সর্ব প্রথম নামাজের হিসাব গ্রহণ করা হবে। যে ব্যক্তি নামাজের হিসাব দিতে পারবে; তার পরবর্তী হিসাব সহজ হয়ে যাবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জামাআতের নামাজ আদায় করা, নামাজের জন্য মসজিদের দিকে চলা এবং অজু অবস্থায় মসজিদে অপেক্ষা করে প্রিয়নবি ঘোষিত ফজিলত ও মর্যাদা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।