মোয়াজ্জেম হোসাইন শাকিল:
“সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা” সবাই প্রোফাইল পিক আপডেট করছে।
অশিক্ষিত, ছিনতাইকারী, দালাল, চাঁদাবাজ, ইয়াবা ব্যবসায়ী, চামচাসহ যে কারো এখন এই পেশাতে যুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এটাই বর্তমান সময়ের জন্য মহান এই পেশাটির সবচেয়ে বড় মহান দিক।
তাই অপরাধীরা কৌশল পাল্টিয়ে “সাংবাদিকতা কৌশল” নিয়েছে। “পায়ুপথে ইয়াবা পাচার” কৌশলের চেয়েও এই “সাংবাদিক কৌশল” বেশ নিরাপদ বৈকি! নিজেদের অপরাধ কর্মকাণ্ডগুলো “সাংবাদিকতা কৌশল” এ বীরদর্পে করে বেড়াচ্ছে তারা।
“সাংবাদিক” পরিচয়ধারী মাত্র ২/৩জনই ইয়াবা/মাদকসহ আটক হয়ে জেলে গেছে। যেসব সাংবাদিক প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কিংবা প্রশাসনের কারো সাথে পার্টনারশীপে ইয়াবা ব্যবসা করে; তারা ধরা পড়ছে না।
“ছিনতাইকারী সাংবাদিক পরিষদ”, “ইয়াবা সাংবাদিক ফোরাম”, “দালাল সাংবাদিক ক্লাব” নামে সরাসরি কোন সংগঠন না দেখলেও আলাদা আলাদা গ্রুপের বিচরণ কিন্তু শুরু হয়ে গেছে।
অন্য পেশায় যেমন পরীক্ষা দিতে হয়, নিবন্ধন করতে হয়, কিছুটা হলেও যোগ্যতা থাকতে হয়; এই পেশায়ও সেরকম সিস্টেম করা সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকতা পুরোটাই নষ্টদের দলে চলে যাচ্ছে।
কপি/পেস্টের এই যুগে সাংবাদিক হওয়ার জন্য ভালো কোন যোগ্যতাই লাগছে না আর। সমাজের কিছু নষ্ট লোককে টাকা সাপ্লাই কিংবা তেল সাপ্লাই দিয়েই সাংবাদিক হওয়া যাচ্ছে। মাসিক কিংবা বাৎসরিক নির্ধারিত টাকার বিনিময়ে “সাংবাদিক কার্ড” নবায়ন হচ্ছে।
আর এমন পরিস্থিতিতে আমরা যারা কেবল এবং কেবল মাত্র অফিসের বেতনের উপর নির্ভরশীল। বেতনের বাইরে কোথাও থেকে এক পয়সাও ধরিনা। তারা বিব্রতবোধ করছি।
যাদেরকে আমরা অনুকরণ করি সেই সব মহৎ সাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা। আমরা যেন তাদের সম্মানটুকু অক্ষুন্ন রাখতে পারি।
(“চটি সাংবাদিকতা”র স্বরূপ উন্মোচন করলাম না।)
মোয়াজ্জেম হোসাইন শাকিল
কক্সবাজার প্রতিনিধি, এটিএন বাংলা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।